বৃহস্পতিবার গড়িয়াহাটের গড়চা রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধা ঊর্মিলা ঝুন্ডের গলাকাটা দেহ। সকালে পরিচারিকরা এসে দেখেন ঘরেই পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার গলাকাটা দেহ। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, বুধবার রাত ১০টা নাগাদ বৃদ্ধাকে খাবার পৌঁছে দিতে আসে তাঁর নাতনি। সকালে পরিচারিকা পৌঁছে দেখেন, দরজা ভেজানো। দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকেই আঁতকে ওঠেন তিনি। দেখেন, বিছানায় পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার গলাকাটা দেহ। পেট আড়াআড়ি করে কাটা। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস বুঝতে পারে ঘটনায় জড়িত পরিবারেরই কেউ। এমনকী বৃদ্ধার মূল্যবান সামগ্রী লুঠ করার জন্যই খুন করা হয়েছে তাঁকে। এর পরই পরিবারের সদস্যদের জেরা করতে শুরু করে পুলিস। পরিবারের দাবি মতো বৃদ্ধার সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল তাঁর নাতনির। তাই তাঁকে লাগাতার জেরা করতে থাকেন গোয়েন্দারা। তাতেই মেলে সাফল্য। খুনের কথা স্বীকার করে নেয় বৃদ্ধার নাতনি। জানায়, মায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ঠাকুমাকে খুন করেছে সে।


