সীমান্তে যখন পাকিস্তান নাশকতার ছক কষে জঙ্গিরা আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক জড়ো করছে, তখন বড় সাফল্য পেল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পাকিস্তান সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের কোন গোপন ভাষায় কথা হয় তা জানতে পেরে গিয়েছে গোয়েন্দারা। মূলত জম্মু ও কাশ্মীরে নাশকতা ছড়াতে পরিকল্পনা করেছে তারা। ছদ্মবেশে ঢুকে পড়া, হামলা করা এবং পালিয়ে আসার ক্ষেত্রে বিশেষ ‘কোড’ বা সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করা হয়। আপাতত সেগুলি ভারতের হাতে চলে এসেছে বলে সূত্রের খবর। কিরকম কোড সেগুলি? জঙ্গি সংগঠনগুলিকে চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রেও সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করা হয়। যথা–৬৬/৮৮ মানে জৈশ–ই–মহম্মদ, এ৩ মানে লস্কর–ই–তৈবা আর ডি৯ মানে আল বাদর। ১২ আগস্টের পর থেকে এই সাংকেতিক ভাষাতেই দু’পক্ষের কথোপকথন চলছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। পাকিস্তানের সেনা এবং জঙ্গিরা এফএম ট্রান্সমিশন স্টেশন ব্যবহার করে বার্তা আদানপ্রদান করে থাকে। এই স্টেশন রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সম্প্রতি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিগন্যালের রেডিও স্টেশন বসানো হয়েছে সীমান্তে। এখান থেকেই সাংকেতিক ভাষা ধরা পড়েছে ভারতের র্যাডারে। গোয়েন্দারা সেই সাংকেতিক ভাষা পরীক্ষা করে জানতে পারে জঙ্গিদের সঙ্গে কথোপকথনের সুবিধার্থে এবং গোপন রাখার ক্ষেত্রে এই পথ অবলম্বন করা হয়েছে।