কলকাতাঃ লোকসভা ভোটের ফল ভাল হয়নি। তাই পর্যালোচনায় বসে কঠোর হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকের ডানা ছাঁটলেন। অনেকে পেলেন গুরুদায়িত্ব। গুরুত্ব হারালেন বেশ কয়েকজন জেলা সভাপতি। আর এই রদবদলে দায়িত্ব বাড়ল শুভেন্দু অধিকারীর। ভাইপো অভিষেকের ডানা ছেঁটে শুভেন্দুতে ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার্তা দিয়ে রাখেন, কেউ ছাড় পাবেন না। জঙ্গলমহলে ভরাডুবির পর বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিষেককে। তাঁর পরিবর্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। জঙ্গলমহলের জেলাগুলি ছাড়া দুই মেদিনীপুর, মু্র্শিদাবাদ ও দুই দিনাজপুরের দায়িত্বে থাকবেন তিনি। সরকারি সংগঠনের দায়িত্বও পেয়েছেন শুভেন্দু। মোট কথা শুভেন্দুর উপর সবথেকে বেশি ভরসা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর দায়িত্ব যখন বহুলাংশে বাড়ল, তখন অভিষেকের দায়িত্ব তৎপর্যপূর্ণভাবে কমানো হয়েছে। তাঁকে সর্বোপরি কো অর্ডিনেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডানা ছাঁটা হয়েছে অরূপ বিশ্বাসেরও। বীরভূম, বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হকিমকে। হুগলি জেলার চেয়ারম্যান করা হয়েছে রত্না দে নাগকে। এছাড়া একাধিক জেলা সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন লোকসভার দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপ-দলনেতা হয়েছেন কাকলি ঘোষদস্তিদার। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে করা হয়েছে প্রধান সচিব। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান করা হয়েছে অমর সিং রাইকে। উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে অরূপ বিশ্বাসকে। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হল বিজয় বর্মনকে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম চেয়ারম্যান হলেন অপূর্ব সরকার। এইচআরবিসি-র চেয়ারম্যান করা হল দীনেশ ত্রিবেদীকে। মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান হলেন মৌসম নূর।