কলকাতা

মেডিকেল স্টাফদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বীমা, মিড ডে মিল পৌঁছবে ঘরে ঘরে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

গুজব ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন

কলকাতাঃ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় নামা রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের ১০ লাখ মেডিকেল স্টাফদের জন্য মাথাপিছু ৫ লাখ টাকার বীমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই বীমা করা হবে। বিকালে নবান্ন সভাঘরে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলির সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে ঠিকমতো সাহায্য মিলছে না বলে বৈঠকে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, ব্যবসায় লাভ না খুঁজে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আরজি করে ৫০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হবে। এখন ব্যবসা করার সময় নয়। সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। বেলেঘাটা আইডিতে চাপ বাড়ছে। সেখানে ১০০ বেড করা হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আগামী ২ সপ্তাহ শুধু আরও সতর্ক থাকতে হবে। সমস্ত হাসপাতালকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রু তৈরির নির্দেশ। ৩০০ ভেন্টিলেশন মেশিনের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বাঙুর হাসপাতালে ১৫০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সরকার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করবে। বেলেঘাটা আইডি-তে ১০টি ও অন্যান্য হাসপাতালে ৫টি করে অ্যাম্বুল্যান্স রাখুন।”  তিনি বলেন, “হাসপাতালের চিকিত্‍সক থেকে নার্স সহ সমস্ত কর্মীদের মাস্ক বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে। তাঁদের স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে গুজব রটিয়ে দিচ্ছেন, বাজারে জিনিস পাওয়া যাবে না। দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। দাম যাতে না বাড়ে, পুলিস নজর দিক। কালোবাজারি বরদাস্ত করা হবে না। বাজার, দোকান খোলা থাকবে। জিনিসপত্রে টান পড়বে না। সীমান্ত সিল হলেও যথেষ্ট পণ্য মজুত আছে। জিনিসের কোনও অভাব নেই। কেন্দ্রের থেকে প্রয়োজনীয় করোনা কিট এখনও রাজ্যে আসেনি। কেন্দ্র গাইডলাইন পাঠাচ্ছে না। ২ লাখ মাস্ক ও ৩০ হাজার গ্লাভসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সরকার ১০ হাজার থার্মাল গানের অর্ডার দিয়েছে। আরও ১০ হাজার অর্ডার দিতে হবে। চিকিত্‍সক, নার্সরা বিশেষ পোশাক পরবেন। এছাড়া মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আইসিডিএস কর্মীদের উদ্যোগী হতেও নির্দেশ দেন তিনি। এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, “স্কুল বন্ধ থাকলেও শিশুদের বাড়িতে পৌঁছে যাবে মিড ডে মিল।”