বিদেশ

মোদীর সভায় ট্রাম্প, হিউস্টনে ৫০ হাজার ভারতীয়র সামনে বক্তৃতা দেবেন দুই রাষ্ট্রনেতা

হিউস্টন: আগামী রবিবার হিউস্টনে ৫০ হাজার ভারতীয়র সামনে বক্তৃতা দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এমনটাই জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাউডি মোদী’। জানানো হয়েছে, সেখানে মোদীর সভায় উপস্থিত থাকবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু উপস্থিত থাকাই নয়, তিনিও সেখানে নিজের বক্তব্য রাখবেন বলেই জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, হিউস্টনের ওই অনুষ্ঠান থেকেই অন্য একটি ইভেন্টে যোগ দিতে যাবেন ট্রাম্প। সেখানে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে বৈঠক আছে তাঁর। জানানো হয়েছে, সেই বৈঠকে আমেরিকা, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা আছে।ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও জাপান একটি ইন্দো-প্যাসিফিক চুক্তিতে আবদ্ধ, যার নাম কোয়াড। সেই কারণেই গত এক বছরে এই দেশগুলির মধ্যে বৈঠক অনেক বেশি হয়েছে।হিউস্টনে আগামী রবিবারের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই আলোচনাসভার মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। বিশ্বের দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানের পথ আরও দৃঢ় হবে বলেই জানানো হয়েছে।হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্য অবশ্য এই প্রথম নিজের বক্তব্য রাখছেন ট্রাম্প তা নয়। ২০১৬ সালে যখন তিনি প্রেসিডেন্টের পদের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন, তখনও নিউ জার্সির এডিসনে ভারতীয়দের সামনে বক্তব্য রেখেছিলেন ট্রাম্প।হোয়াইট হাউসের ঘোষণার পর এই অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা টেক্সাস ইন্ডিয়া ফোরাম একটা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা আশা করছে এই অনুষ্ঠানে অনেক রাজনীতিবীদ, নেতা ও সরকারি আমলারা উপস্থিত থাকবেন।আমেরিকায় গিয়ে সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় সামনে এই নিয়ে তৃতীয়বার নিজের বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঐতিহাসিক ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনে নিজের বক্তব্য রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আগামী বছর, ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসেতে নিজের বক্তব্য রাখবেন মোদী।আগামী রবিবারের অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এনআরজি স্টেডিয়ামে দর্শকাসন ৭০ হাজারের বেশি। তাঁরা আশা করছেন এই অনুষ্ঠানে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ আসবেন।গত কয়েক মাসে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কের রসায়নে অনেক বদল এসেছে। আফগানিস্তান ও কাশ্মীর ইস্যুতে ট্রাম্পের সাহায্য চেয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ট্রাম্পও একাধিকবার সেই কথা বলেছেন। এই প্রসঙ্গে ভারতের তরফে ট্রাম্পের বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়। তারপরেই অবশ্য নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।অবশ্য মোদীর পদাঙ্কই অনুসরণ করছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত জুলাই মাসে তিনিই প্রথম পাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমেরিকায় এই ধরণের একটি অনুষ্ঠানে সেখানে বসবাসকারী পাকিস্তানি জনগণের সামনে নিজের বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে হয়েছিল ওয়াশিংটনে। ইমরানের সেই অনুষ্ঠানে প্রায় ২০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেখানে এত বেশি রাজনীতিবীদ কিংবা সরকারি আমলাদের উপস্থিতি ছিল না।