দেশ

যোগীর রাজ্যে ‘নোংরা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকতে হচ্ছে’‌ চিকিৎসকদের, ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন

করোনা যুদ্ধের সামনের সারির যোদ্ধাদের মান এবং প্রাণ রক্ষার জন্য অর্ডন্যান্স এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী বা আশাকর্মীদের উপর হেনস্থা হলেই দোষীদের সাত বছরের কারাদণ্ড হতে। বৃহস্পতিবারই তাতে স্বাক্ষরও করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু সেই করোনা–যোদ্ধাদেরই সামান্য পরিচ্ছন্ন আশ্রয়ও জোটেনি যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে। ঘটনাটি রায়বরেলির। রায়বরেলির সরকারি হাসপাতাল লাগোয়া একটা সরকারি স্কুলে সক্রিয় কোয়ারানটাইন কেন্দ্র গড়ে সেখানে রাখা হয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং প্যারামেডিক্যালের কর্মীদের। কারণ চিকিৎসা করার সময় কোনওরকমে ভাইরাসের সংস্পর্শে তাঁরা এলেও যাতে তাঁদের পরিবার সুরক্ষিতই থাকে। সেই সরকারি স্কুলেরই তিনটে ভিডিও ক্লিপিংস মঙ্গলবার সন্ধ্যা, বুধবার সকাল এবং বুধবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ওই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। রায়বরেলির জেলাশাসক এবং সিএমও–কেও লিখিত অভিযোগ করেন। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে যেখানে তাঁরা রয়েছেন, সেখানে নোংরা, অপরিচ্ছন্ন শৌচালয়, একটা ঘরে চারটে বিছানা, বেশিরভার ফ্যানই চলছে না, রঙিন পলিপ্যাকে পুরি–সবজি ভরে তাঁদের মধ্যাহ্নভোজ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। ২০ লিটারের জলের ক্যান এনে সবাইকে তাতেই কাজ চালিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিডিওয় তাঁদের আরও অভিযোগ, অপরিচ্ছন্ন শৌচালয়ের বিষয়ে জানালে তাঁদের একটা মোবাইল শৌচালয় এনে দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটেজ ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে উত্তর প্রদেশ সরকার। মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার বা সিএমও ডিকে শর্মা নিজে গিয়ে ওই স্থান পরিদর্শন করেন। তারপর সেখান থেকে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সরিয়ে একটা গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয় মধ্যেই।