রাঁচিতে রাতভর এক ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতন চালায় ১২ জন। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ইটভাটায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় মেয়েটিকে। অভিযুক্ত ১২ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা গত মঙ্গলবারের। কাঙ্কে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত বুধবার সকালে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, মেয়েটির উপর নৃশংস নির্যাতন চালানো হয়েছে। ছিঁড়েখুঁড়ে গেছে তাঁর যোনি। মারধরও করা হয়েছে তাঁকে। সারা শরীরে দগদগে ক্ষত। পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার কলেজ শেষে বন্ধুদের সঙ্গে তিনি শহরের বাইরে সংগ্রামপুর এলাকায় গিয়েছিলেন। তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটা। বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ায় দু’টি মোটরবাইক। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় আততায়ীরা। চিত্কার করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। শহরের কাছেই একটি ইটভাটায় নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সেখানে তাদের দলেরই আরও অনেকে অপেক্ষা করছিল। মেয়েটিকে বেঁধে রেখে রাতভর নির্যাতন চালায় তারা। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন তিনি। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যে জায়গায় মেয়েটির উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে সেটা তার কলেজ থেকে ৪ কিলোমিটার দূরত্বে। ওই ইটভাটা থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন, ছিলছোঁড়া দূরত্বে ডিজিপি-র বাড়ি। ওই এলাকার ধারেকাছেই থাকেন রাজ্যের আরও নানা নেতামন্ত্রী। এই ঘটনায় ক্ষোভের আগুন জ্বলে গেছে রাঁচিতে। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবার এফআইআর করার পরেই এসএসপির নির্দেশে একটি স্পেশ্যাল টিম গঠন করা হয়। ওই এলাকার আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয় ১২ জনকে। জেরায় সকলেই অপরাধ স্বীকার করেছে। ধৃতদের নাম সুনীল মুন্ডা, কুলদীপ ওরাওঁ, সুনীল ওরাওঁ, সন্দীপ তিরকে, অজয় মুন্ডা, রঞ্জন ওরাওঁ, নবীন ওরাওঁ, আমান ওরাওঁ, বসন্ত কাছাপ, রবি ওরাওঁ, রহিত ওরাওঁ ও ঋষি ওরাওঁ। ধৃতদের কাছ থেকে মোটরবাইক, গুলি, মোবাইল ফোন এবং একটি গাড়িও উদ্ধার হয়েছে।