রাজ্যে বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের (বেঙ্গল বিজনেস কনক্লেভ)। আগামী ১১ ও ১২ ডিসেম্বর দিঘার কনভেনশন সেন্টারে দেশ-বিদেশের শিল্পপতিদের নিয়ে এই সম্মেলন আয়োজিত হতে চলেছে। শিল্প-বাণিজ্য দপ্তরের উদ্যোগে হবে এই শিল্প সম্মেলন। আর এই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বাণিজ্য সম্মেলন সফলে চেষ্টায় কোনও প্রকার ত্রুটি রাখতে নারাজ রাজ্য প্রশাসন। শিল্পপতিদের সাদর অভ্যর্থনা জানাতে সেজে উঠছে গোটা সৈকত শহর। রাস্তা-ফুটপাথ পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে সাজসজ্জার কাজে। কনভেনশন সেন্টারের বাইরের এলাকা জুড়ে অস্থায়ী তঁাবু তৈরি করা হচ্ছে। ভিতরেও চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। রঙিন আলোকমালায় সেজে উঠেছে রাস্তাঘাট। সম্মেলনের জন্য পুরোদস্তুর প্রস্তুত কনভেনশন সেন্টার। বৈঠকে বিদেশি অতিথিদের আতিথেয়তার ব্যবস্থা, দু’দিনের সম্মেলনের পরিকাঠামোগত বিষয়ে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘শিল্পপতিরা বাংলা সম্পর্কে যাতে অত্যন্ত ভাল ধারণা নিয়ে ফিরতে পারেন, এই সম্মেলন থেকে যাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভাল বার্তা যায়, তার চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্মেলনের জন্য দিঘার পরিকাঠামো ও নিরাপত্তার সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’ দু’দিনের বাণিজ্য সম্মেলনে কৃষি বাণিজ্য এবং ক্ষুদ্র–মাঝারি বিনিয়োগ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা, পর্যটন, পরিবহণ, লজিস্টিক এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। কৃষি এবং ক্ষুদ্র–মাঝারি শিল্পের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে সম্মেলনে। হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের আরও অগ্রগতি, প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দর গড়ে তোলার পাশাপাশি সৈকতকে পর্যটকদের গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরা হবে শিল্পপতিদের কাছে। ইতিমধ্যে দিঘায় এসে বাণিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি ঘুরে দেখে গেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব তথা শিল্পসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ ডিসেম্বর বাণিজ্য সম্মেলন উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিন সন্ধেয় যাত্রানালা পার্কে বসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর। শিল্পপতিদের বিনোদনের জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের নথিভুক্ত শিল্পীদের পাশাপাশি নামিদামি শিল্পীরাও অংশ নেবেন এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সেজন্য যাত্রানালা পার্কও সাজানোর কাজ চলছে। সমুদ্রের ধারে বালিয়াড়ি এবং ঝাউবনের মধ্যে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে চলছে মঞ্চসজ্জার কাজ। দিঘার স্থায়ী হেলিপ্যাড ছাড়াও বাণিজ্য সম্মেলনে আগত শিল্পপতিদের কথা মাথায় রেখে জেলার বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হচ্ছে করা হচ্ছে আরও পঁাচটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড।