কলকাতাঃ রেড রোডে পুজোর কার্নিভালে মঞ্চে ছিল চাঁদের হাট। হাজির ছিলেন টলিপাড়ার অনেক তারকাই। দর্শক আসন ছাড়াও লাখ লাখ মানুষ চারিদিকে দাঁড়িয়ে শুক্রবারের কার্নিভাল দেখল। চোখ ধাঁধানো জমকালো অনুষ্ঠান। চারিদিকে আলো, ঢাক, সানাই ও ধুনুচির নাচে বিকেলের পর থেকেই রেড রোডের পরিবেশ অন্যরকম হয়ে উঠল। বিদেশি অতিথিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। এছাড়া সমাজের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এসেছিলেন
বিশিষ্ট ব্যক্তি এসেছিলেন এই কার্নিভাল দেখতে। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী এসে পৌঁছন। গাড়ি থেকে নেমে রেড রোডের উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত হেঁটে আসেন। রাস্তার দু’ধারের অগুনতি মানুষ তাঁকে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। নমস্কার বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারের কার্নিভালে আরও বেশি মানুষ শামিল হয়েছিলেন। মূল মঞ্চে উঠে মুখ্যমন্ত্রী বিশিষ্টদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। তিনি মূল মঞ্চে ওঠার আগে রাজ্যপাল
জগদীপ ধনকড় এসে পড়েন মূল অনুষ্ঠানে। তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর রাজ্যপাল গিয়ে বসেন মূল মঞ্চের পাশের মঞ্চে। মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাক বাজিয়ে ধুনুচি নৃত্য করে স্বাগত জানানো হয়। এরপরেই শুরু হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ক্লাব কর্মকর্তারা ছাড়াও শিশুরা এসেছিল তাঁদের সঙ্গে। এদের মধ্যে কেউ কেউ ফুলের তোড়া নিয়ে মঞ্চে উঠে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়। মুখ্যমন্ত্রী ছোটদের হাতে তুলে দেন লজেন্স–চকোলেট। মঞ্চে ছিলেন মন্ত্রী ও
প্রশাসনের কর্তারা। শোভাযাত্রার প্রথমেই ছিল শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু। ক্লাব সদস্যদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচলেন সাংসদ নুসরত। এরপর একটা একটা করে প্রতিমা রেড রোডের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে আসতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী কখনও নেমে আসেন রাস্তায়, কখনও নিজের আসন থেকে হাততালি দিয়ে উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানান। এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী
সাংসদ নুসরতও। এসেছিলেন ইন্দ্রাণী হালদার, সোহম, জুন মালিয়া, দিতিপ্রিয়া, অরিন্দম শীল ও আরও অনেকেই। অনুষ্ঠানে এসেছিলেন চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন, কবি জয় গোস্বামী, সুবোধ ঘোষ, সঙ্গীতশিল্পী অরুন্ধতী হোম চৌধুরী, শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ অনেকেই।