জেলা

সাগরদ্বীপে আছড়ে পড়ল বুলবুল

অবশেষে স্থলভাগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। রাজ্যের উপকূলে ঢুকে পড়ল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ইতিমধ্যেএর প্রভাব পড়েছে দুই ২৪ পরগণা, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই। সাগরদ্বীপ-বকখালির মাঝখানে বর্তমানে অবস্থান করছেঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। প্রবল বেগে ঝড় বইছে সাগরদ্বীপ এলাকায়।  রাত ৮টা বাজার মিনিট ১০ আগেই সাগরদ্বীপে প্রবল ঝড় বইতে শুরু করে। বৃষ্টি তো চলছিলই। তা প্রাবল্য বাড়ায়। ঝড়ের দাপট বাড়তে থাকে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে স্থলভাগে প্রথমে প্রবেশ করে ঝড়ের সামনের অংশ। তারপর ক্রমে সমুদ্র ছেড়ে স্থলভাগে ঢোকে সাইক্লোনের চোখ। তারপর তার পিছনে থাকা অংশ প্রবেশ করে। এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে প্রায় ৩ ঘণ্টার মত সময় লাগবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেই পূর্বাভাস মিলিয়ে ঝড়ের সামনের অংশ রাত ৮টার একটু আগেই স্থলভাগে প্রবেশ শুরু করে দেয়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে। কয়েকটি বাড়িরচালও উড়ে গিয়েছে। গাছও ভেঙে পড়েছে কয়েকটি জায়গায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেজুরি, নন্দীগ্রাম, নয়াচর ব্লক বুলবুল-এর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। তবে পরিস্থিতি এখনও আয়ত্ত্বের মধ্যে বলে জানা যাচ্ছে প্রশাসন সূত্রে। বিভিন্ন জায়গায় তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলকে। তৈরি পুলিশও। সমস্ত দিকে নজর রাখছে কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরাও। এমনকি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে খোদ নবান্নে। সেখানে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজর রাখছেন পরিস্থিতির দিকে। এছাড়া খোলা হয়েছে হেল্প লাইন নম্বরও। সেই দু’‌টি হল- ২২১৪৩৫২৬ ও ২২১৪৩৫৮৬। এছাড়াও চালু হয়েছে টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০। পাশাপাশি শনিবার ও রবিবার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সুন্দরবন, সাগর, দিঘা, কাকদ্বীপ, প্রভৃতি জায়গায় বিপর্যয় মোকাবিলায় পাঠানো হয়েছে এনডিআরএফের দল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় খোলা হয়েছে ৩০০টি ফ্লাড সেন্টার। বন দপ্তর, পুলিশ, সেচ দপ্তরকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বলা হযেছে।  বুলবুল জেরে রাতে কলকাতায় বৃষ্টি বাড়বে। ঝড়ও হবে। ঝড়ের গতি থাকবে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে। বৃষ্টিও হবে। ঝড়টি এরপর ক্রমে এগিয়ে কাল সকালের মধ্যে বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে। রবিবার থেকে আবহাওয়ার অনেকটা উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা।