কলকাতা

কাকভোরে শিয়ালদা ইএসআই হাসপাতালে ভয়ঙ্কর আগুন, মৃত ১, অসুস্থ ২ রোগী

শুক্রবার কাকভোরে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড শিয়ালদা ইএসআই হাসপাতালে! ভয়াবহ আগুনের জেরে একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রোগীর পরিজনদের দাবি, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর। এছাড়াও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও দু’জন। প্রায় ৮০ জন মতো রোগীকে নিরাপদে অন্যত্র সরানো হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, দমকলের ১০টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকল এবং হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ভোর ৫ টা নাগাদ আচমকা আগুন লাগার বিষয়টি নজরে আসে বিষয়টি। তারপর হাসপাতালের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে একে একে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন এসে পৌঁছায়। ক্রমেই আগুন ছড়িয়ে পড়ায় রোগীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়। দমকলকর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। প্রথমে  হাসপাতালের দ্বিতীয় তলে আগুন লাগে। ক্রমেই উপরের তলেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে আর সেইসঙ্গে ব্যাপক কালো ধোঁয়ায় দম বন্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার জেরে মৃত্যু হয় ওই রোগীর। আরও বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দ্রুত অন্যান্য রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।  খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানান, এদিন ভোরের দিকে আগুন লাগে। ঘটনায় রোগী ও রোগীর পরিজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে যাওয়ায় এক রোগীকে ইএসআই হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।  আরও জানা গিয়েছে, ওই রোগীর ক্যানসার ছিল। এর পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল রোগীর। আগুন লাগার ফলে অতিরিক্ত ধোঁয়া সহ্য করতে না পেরে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়াও আরও দুজন রোগীকে মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যদিও আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগ থেকেই আগুন লেগেছে।  এর জেরে সেই আগুন একাধিক বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে। এখন কীভাবে হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায় তার চেষ্টা করছেন কর্তৃপক্ষ।