ক্রাইম

নদিয়ার হাঁসখালিতে ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটে তড়িঘড়ি নাবালিকার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

বান্ধবীকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ। অভিযোগ উঠল নদিয়ার হাঁসখালির শ্যামনগর এলাকার তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে ৪ এপ্রিল। অত্যাধিক রক্তপাতে গত ৫ এপ্রিল রাতেই মৃত্যু হয় নাবালিকার। এখানেই শেষ নয়। পরিবারের আরও  অভিযোগ, প্রথমে ধর্ষণ করার পর রাতারাতি নাবালিকার দেহ দাহ করানো হয়। বাধা দিতে গেলে বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি বিষয়টি চেপে না গেলে ফল ভালো হবে না বলেও জোর হুমকি দেওয়া হয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমর গোয়ারীর তরফে। ভয়ে মুখ বুঝে থাকার পর গতকাল, শনিবার  বিষয়টি সামনে আসে।শোরগোল পড়ে এলাকায়। হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাবা।

জানা গিয়েছে, গত ৫ তারিখে ওই গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্য সমর গোয়ালীর ছেলে ব্রজ গোয়ালীর জন্মদিন ছিল । সেই কারণেই সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পেয়ে আসে বছর ১৪ বছরের ওই নাবালিকা । অনুষ্ঠানের পর এক মহিলা ওই নাবালিকাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় । বাড়িতে এসে মেয়েটি শারীরিক অসুস্থতার কথা জানায় । অভিযোগ ওই মহিলা হুমকি দেয়, এ বিষয়ে অন্য কাউকে কিছু জানালে কিংবা সরকারি হাসপাতালে গেলে ছেড়ে দেওয়া হবে না । এরপর ভোরের দিকে নির্যাতিতার তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয় এবং গোপনাঙ্গ থেকে রক্তপাত ঘটতে থাকে । নাবালিকার পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় একটি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান । এরপর রবিবার সকালে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয় । অভিযোগ এই ঘটনা জানাজানি হতে ওই এলাকায় তৃণমূলের কিছু প্রভাবশালী লোকজন এসে স্থানীয় একটি শ্মশানে তড়িঘড়ি নাবালিকা মেয়েটির দাহ করে দেয় । এমনকী প্রমাণ লোপাটের জন্য় চিতায় জল ঢেলে পরিষ্কার করে দেওয়া হয় দেহের ছাইও ৷ ভয়ে প্রথমে কিছু না জানাতে চাইলেও পরিবারের তরফ থেকে ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় হাঁসখালি থানায় । তারপরই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্যর ছেলে ব্রজ গোয়ালীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।