শুক্রবার সকালে জেলিয়াখালিতে শিবু হাজরার তিনটি পোলট্রি ফার্ম ও বসত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। লাঠি হাতে রাস্তায় নামেন এলাকার মহিলারা। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। দিনভর উত্তেজনা জারি থাকার পর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার রাতে ত্রিমোহিনী বাজার-সহ সন্দেশখালি থানা এলাকায় জারি হয় ১৪৪ ধারা। রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনি। শনিবার সকালেও থমথমে এলাকার পরিস্থিতি। গত কয়েকদিন ধরেই চর্চায় সন্দেশখালি। খোঁজ নেই শাহজাহানের। এর মাঝেই শিবপ্রসাদ এবং উত্তমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরে চাষের জমি ও খাল দখল করে একের পর এক ভেড়ি তৈরি করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা এবং সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি উত্তম সর্দার। জমিতে চাষের পর গ্রামবাসীরা তাঁদের প্রাপ্য পাননি। এতদিন শেখ শাহজাহানের ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি বলেও দাবি গ্রামবাসীদের। শেখ শাহজাহান বেপাত্তা হতেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। শুক্রবার সকাল থেকে তীব্রতা বাড়ে প্রতিবাদের, নতুন করে উত্তপ্ত হয় এলাকা। শুক্রবার রাতে সন্দেশখালি কাণ্ডে কড়া বার্তা দেন পার্থ ভৌমিক। বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ প্রশাসন সদর্থক ব্যবস্থা নেবে। কোনও ব্যক্তি, কোনও দলের কর্মী, গোলমাল পাকালে কাউকেই রেয়াত করা হবে না।”