কাউকে বন্ধুত্বের টোপ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব পাতানো ও তারপর একদিন হঠাৎ ভিডিও কল। কল রিসিভ করতেই ওপারে নগ্ন মহিলা। আর সেই স্ক্রিনশট তুলে ওপারের মানুষটিকে সমাজে হেনস্থা করার ভয় দেখানো। হাতানো হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। একের পর এক মানুষ পড়ছেন অচেনা বন্ধুত্বের প্রতারণা চক্রে । অনেকেই অচেনা প্রোফাইলের অনুরোধে সাড়া দেন। তারপর আসে চ্যাট রিকোয়েস্ট। তারপর হঠাত্ একদিন ভিডিও কল। এরপরই ঘটে বিপদ। সম্প্রতি হংকংয়ের প্রায় ৫৯ জন, যাদের মধ্যে চারজন মহিলা ছিলেন, ভিডিওকলে কথা বলার সময় তাঁদের নগ্ন হতে বাধ্য় করা হয়। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ১৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। জানা যায় যে সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের প্রতারণা করার চক্র , উচ্চ শিক্ষিত, ভালো আয় এবং শারীরিক ভাবে আকর্ষণীয় পুরুষরা এই চক্র চালায়। মিষ্টি কথার মাধ্যমে তাঁরা ভিকটিমদের সাথে বন্ধুত্ব করে, তারপর তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন সব তথ্য জেনে তাঁদের ফাঁদে ফেলে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট (SCMP)জানান যে পুলিস শুক্রবার তাঁদের ফেসবুক পেজে প্রতারকদের নম্বরগুলি পোস্ট করেছেন,সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য । হংকং পুলিস জানায় “গত সপ্তাহে,তাঁরা নগ্ন-চ্যাট ব্ল্যাকমেইলের ৫৯টি মামলা পেয়েছে, যার মধ্যেমে স্ক্যামাররা ১৬ কোটি টাকা বেশি টাকা জালিয়াতি করেছে।”ভারতে যৌন নির্যাতন বা চ্যাট ব্ল্যাকমেইলের বেশ কয়েকটি উদাহরণ রয়েছে। কেরালা পুলিস এই বছরের শুরুতে হানি ট্র্যাপ সম্পর্কে এবং অপরিচিত নম্বরের ভিডিও কলের উত্তর না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছিল। ২০২২ সালে, একটি ভিডিও চ্যাটে নগ্ন হওয়ার জন্য প্রতারিত হয় তারপরে বেঙ্গালুরুর এক ব্যক্তিকে প্রতারকদের ৫ লাখ টাকা দিতে হয়েছিল। ২০২৩ সালে, এক ব্যক্তিকে নগ্ন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করার জন্য এবং তাঁর কাছ থেকে ৩.৩৩ লক্ষ টাকা দাবি করার জন্য দুই ব্যক্তিকে রাজস্থানে আটক করা হয়েছিল।