বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে ‘ডাইনি’ অপবাদে দুই আদিবাসী মহিলাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল ৷ সেই ঘটনায় ফের এক নাবালিকা ও পাঁচ মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে এই ঘটনায় মূল পাণ্ডা-সহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করলেন বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার আধিকারিকরা । রবিবার ধৃত ৬ জনকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক ১৩ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছেন তাদের ৷ জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার রাতে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার হরিসরা গ্রামে ৷ অভিযোগ, ‘ডাইনি’ অপবাদে দুই আদিবাসী মহিলাকে বাড়ি থেকে বের করে তাঁদের পরনের কাপড় দিয়ে হাত বেঁধে দু’জনেই পিটিয়ে খুন করা হয় । তারপর তাঁদের দেহ দুটিকে গ্রামের পাশে একটি জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ দুটি উদ্ধার করে । পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমেই এই ঘটনার মূল পাণ্ডা গ্রামের ওঝা লক্ষ্মীরাম মুর্মু-সহ 6 জনকে গ্রেফতার করে । এরপর শনিবার আরও 9 জনকে পাকড়াও করা হল বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশের তরফে । ধৃত ১৫ জনের মধ্যে আদালতের কাছে আবেদন করে চারজনকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেয় । বাকি ১১ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক ৷ তাদের জেরা করে আরও পাঁচজন মহিলা ও এক নাবালিকা-সহ ৬ জনের নাম জানতে পারে পুলিশ । আজ তাদেরও গ্রেফতার করা হয় ৷ ধৃতদের মিলিয়ে মোট ১৭ জনকে জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত ৷ ঘটনার পর হরিসরা গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প । নিহতদের পরিবারের সুরক্ষার জন্য মোতায়ন করা হয়েছে একটি পুলিশ টিম ।