‘একুশে বলেছিলাম খেলা হবে, এবার পদ্মফুল উপড়ে ফেলতে হবে’
শুক্রবার বঙ্গসফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে একবারের জন্যও শোনা যায়নি রামনাম। উলটে কালী-দুর্গাকে স্মরণ করে সভা শুরু করেছিলেন তিনি। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল। একুশের মঞ্চ থেকে সেই ইস্যুতেই বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললেন, “আগে জয় শ্রীরাম বলত, এখন বলছে জয় মা দুর্গা-জয় মা কালী বলছে। ছাব্বিশের পর জয় বাংলা বলিয়ে ছাড়ব।” একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই যে ছাব্বিশের সুর বেঁধে দেওয়া হবে, তা জানা ছিলই। এদিনের সভামঞ্চ থেকে বিজেপিকে গণতান্ত্রিকভাবে ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ পাঠানোর ডাক দিলেন অভিষেক। তিনি বলেন, “বাংলার মানুষকে এরা ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে যেতে চায়। বিজেপিকে প্রথম থেকেই আমরা বাংলাবিরোধী বলেছি। আজ থেকে ১৬-১৭ মাস আগে আমরা ব্রিগেডে সমাবেশ করেছিলাম। তাতে স্লোগান ছিল, ‘জনতার গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’। সেই দিন আমরা যে ডাক দিয়েছিলাম, সেটা শুধু স্লোগান না, ওটা বিজেপির চরিত্র উন্মোচন। শুধু রাজনৈতিক স্লোগান নয়। বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে তাচ্ছিল্য করে, ময়দানে জিততে না পেরে নির্লজ্জের মতো গরিব মানুষকে মারার পরিকল্পনা করে। টাকা আটকে রাখে। ওদের একটাই পরিচয়, বাংলাবিরোধী।” ভিনরাজ্যে বাংলা বললে হেনস্তা নিয়ে সরব হলেন তিনি। বললেন, “বাংলায় কথা বললে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন বাংলাদেশি। ১৫ দিন হয়ে গেল কী ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রের সরকার? গর্ব করে বাংলাতেই কথা বলব। লোকসভায় আমরা এই সেশনে দরকারে বাংলায় কথা বলব। আগে ১০ বার বলতাম, এবার ৫০০ বার বলব। তোমাদের কথায় বাংলা উঠবে বসবে?” তাঁর কথায়, বিজেপি বাংলায় মাটি শক্ত করতে পারেনি বলেই এখানকার বাসিন্দাদের উপর হেনস্তার ছক। বঙ্গসফরে মোদির দুর্গা-কালী স্মরণ নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক। তিনি বলেন, “আগে জয় শ্রীরাম বলত, এখন বলছে জয় মা দুর্গা, জয় মা কালী। ছাব্বিশের পর জয় বাংলাও বলিয়ে ছাড়ব।” আমি ভবিষ্যদ্বাণী করি না। কিন্তু করলে ভেবে চিন্তে বলি। যে কটা আবর্জনা রয়েছে তাদের ঝেঁটিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলতে হবে। পদ্মফুল উপরে ফেলার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সেনাপতি।‘একদিকে ইডি লাগিয়ে বিরোধী নেতাদের জেলে ঢোকানো হচ্ছে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোটাধিকার কেড়ে নিচ্ছে।’ চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক বললেন, “মেরুদণ্ড বিক্রি করব না।” নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও সরব হন অভিষেক। সাফ জানিয়ে দেন, “ভোটার লিস্টে কারচুপি করতে দেব না। প্রয়োজনে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের অনুমতি নিয়ে দিল্লিতে বৃহত্তর আন্দোলন করব।”


