কেদারনাথ মন্দির থেকে উধাও সোনা! এক-আধ গ্রাম নয়, ২২৮ কেজি! সোমবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। উত্তরাখণ্ডের জ্যোতির্ময় পীঠের শঙ্করাচার্যের এমন অভিযোগ সামনে আসতেই তুমুল অস্বস্তিতে মোদি সরকার। বিরোধী শিবিরের রাজনীতিক বা সরকারের সমালোচকদের কেউ নন, জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য, স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দের দাবি, কেদারনাথ মন্দির থেকে ২২৮ কেজি সোনা গায়েব হয়ে গিয়েছে। সোনা গায়েব হওয়াকে সরাসরি দুর্নীতি বলে দাবি করেছেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছেন কেন এ নিয়ে তদন্ত হচ্ছে না। দেশের রাজধানী দিল্লিতে প্রতীকী কেদারনাথ মন্দির গড়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এমন সময় সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন শঙ্করাচার্য। ১০ জুলাইয়ে দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে কেদারনাথ মন্দিরের শিলান্যাস করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। রাজধানীর বুকে কেদারনাথ মন্দির তৈরির উদ্যোগের ঘোষণা হতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বেঁকে বসেছেন উত্তরাখণ্ডের মূল মন্দিরের পুরোহিতরা। দিল্লির বুকে কেদারনাথ মন্দির তৈরির উদ্যোগে ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছেন তাঁরা। দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দির তৈরির বিরোধিতা করেছেন রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস। রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দিল্লিতে কেদারনাথের প্রতীকী মন্দির তৈরির উদ্যোগের বিষয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছেন। দিল্লির বুকে কেদারনাথ মন্দির তৈরির উদ্যোগের প্রশংসা নয়, বরং সমালোচনাই করেছেন রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। তাঁর দাবি, দিল্লির বুকে কেদারনাথের বদলে এই মন্দিরে অন্য কোনও নাম দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তাঁর কথায়, ‘দেশে একটি কেদারনাথ মন্দির রয়েছে এবং একটি কেদারনাথ মন্দিরই থাকা উচিত।’