কয়েকদিন আগে পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়াতে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র সন্ধানে হিন্দিতে পোস্টার পড়েছিল। কেননা বাবুল তাঁর নিজ দলের নেতাকর্মীদেরও সেভাবে সময় দেন না। আসানসোলে খুব কম সময়ের জন্য এলেও আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন না, সাধারন মানুষের অভাব অভিযোগও শোনেন না। দিল্লিতেই তাঁর বেশির ভাগ সময় কাটে। সেই অভিযোগ যে খুব একটা ভুল নয়, তার প্রমাণ মিলল এদিন। জামুড়িয়ার নাগরিকবৃন্দের তরফে দেওয়া সেই পোস্টারের জেরে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। বাবুল গতকালই এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন যে, তৃণমূলের কর্মীরাই এইসব ঘটনা ঘটিয়েছেন। যদিও শোনা যাচ্ছিল বাবুলের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ দলেরই একটা বড় অংশ। এবার BJP সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীরাই। এই সাংসদ সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক দলের নেতা-কর্মীদের কথাই শোনেন না, এই অভিযোগ তুলে BJP ছাড়লেন আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মদনমোহন চৌবে, BJP-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার বুদ্ধিজীবী সেলের আহ্বায়ক ডা. দেবাশিস সরকার সহ প্রায় ৩০ জন নেতা। রবিবার মোট ৩ হাজার BJP কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপি সম্পাদক সহ প্রায় ৩ হাজার কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এলেন বাবুলকে কাঠগড়ায় তুলে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। তাঁর হাত থেকেই তৃণমূলের পতাকা নিয়ে যোগদান সম্পন্ন করেন এই নেতা ও কর্মীরা। অনুষ্ঠানের পরে মদনমোহন চৌবে বলেন, ‘বাবুল সুপ্রিয়র দুর্নীতির বিরুদ্ধেই আমরা সবাই দলত্যাগ করেছি। এই সাংসদ সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক দলের নেতা-কর্মীদের কথাই শোনেন না। ভোটের সময় এমন কোনও দুর্নীতি নেই, যা বিজেপি করেনি। এই বিষয়টি স্থানীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও সুরাহা না পাওয়া যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত লেখা হয় চিঠি। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। পাশাপাশি হিন্দিভাষীদের এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে গত বিধানসভা ভোটে। কোথাও হিন্দিভাষী প্রার্থী করা হবে না এটা স্পষ্ট বলা হয়েছিল। আর এতেই অপমানিত হয়েছি। দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাতে এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে আমরা তৃণমূলে যোগদান করছি।’