ক্রাইম

রাজস্থানের যোধপুরে মায়ের পাশ থেকে ৩ বছরের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, সিসিটিভি দেখে গ্রেফতার যুবক

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সুবিচার চেয়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে ফুঁসছে দেশের একটা বড় অংশ। এরই মধ্যে আরও একটি নারকীয় ঘটনার খবর এল রাজস্থান থেকে। রবিবার ভোররাতে যোধপুরের ঘটনা।ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে বছর তিনেকের এক শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নারকীয় ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের খবর, ভাইরাল সিসিটিভ ফুটেজ সূত্রের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে অভিযুক্তকে।পুলিশের দাবি, কাগজকুড়ানি বাবা-মায়ের সঙ্গে মন্দিরের বাইরের চাতালে ঘুমোচ্ছিল বাচ্চাটি। দুপুর ২টো নাগাদ তাকে তুলে নিয়ে যায় ওই যুবক। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ স্থানীয় এক দোকানদার মন্দির থেকে কিছুটা দূরে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত এবং প্রায় সংজ্ঞাহীন শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। বাচ্চাটির ঠোঁটে এবং শরীরের প্রায় সর্বত্র কামড়ের বেশ কিছু গভীর ক্ষত মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। গুরুতর জখম বাচ্চাটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মেডিক্যাল টেস্ট করানো হলে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মধ্যপ্রদেশ থেকে আসা ওই দরিদ্র পরিবারটি কয়েক বছর হলো রাজস্থানের যোধপুরের একটি বস্তিতে থাকতে শুরু করেছিল। ঘটনার দিন কোনও কারণে বস্তিতে না-ফিরে মন্দিরের অদূরে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। বাচ্চাটির মা মানসিক ভাবে কিছুটা অসুস্থ বলে দাবি করেছে পুলিশ। ডিসিপি (ওয়েস্ট) রাজেশ কুমারক যাদব জানিয়েছেন, বছর পাঁচেকের একটি ছেলেও রয়েছে ওই দম্পতির।তবে ঘটনার সময়ে সে-ও ওখানে ছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। সিটিটিভি ফুটেজ এবং ফোন লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ যাকে ধরেছে, হরিশ নামে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই যুবক বিবাহিত এবং আশপাশের একটি চায়ের দোকানে কাজ করে বলে জানা গিয়েছে। ‘বঙ্গনিউজ’ সত্যতা যাচাই করেনি, তবে ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে- এক যুবক ঘুমন্ত শিশুটিকে কোলে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অভিযুক্তকে ধরার পরে শিশুটিকে যেখানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়, সেখান থেকে নমুনাও সংগ্রহ করেছে পুলিশের ফরেনসিক টিম। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।