পুরীতে ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণ। জগন্নাথ দেবের চন্দনযাত্রায় বাজি ফেটে ঝলসে গেলেন অন্তত ৩০ পুণ্যার্থী, ইতিমধ্যেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই সংকটজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুরীর এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। প্রশাসনকে দ্রুত আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে এক নাবালক রয়েছে। দুর্ঘটনার পরে গুরুতর আহত অবস্থায় কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাকি দু’জন ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মারা গিয়েছেন। আহতদের প্রথমে
পুরীর ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল, তাঁদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ এবং ভুবনেশ্বরের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বাজি ফাটানো চলছিল রীতি অনুযায়ী। সেই সময়ই বাজি বিস্ফোরণ ঘটে। সেই আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ে পুণ্যার্থীদের উপরে। অনেকেই গায়ে আগুন লেগে যাওয়ায় পবিত্র এই পুকুরের জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রাণ বাঁচাতে। মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানান, ‘পুরীর দুর্ঘটনার কথা শুনে তিনি খুবই দুঃখিত। এইনি এও লেখেন, এই ঘটনায় প্রধান প্রশাসনিক সচিব ও জেলা প্রশাসনকে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা এবং ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বহন করা হবে। প্রভুর কাছে সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।’