আলোর উৎসবে আঁধার নেমে এল তামিলনাডুর রানিপেটে। জাানা গিয়েছে,রবিবার পরিবারের আর সকলের সঙ্গে বাজি ফাটাচ্ছিল নভিস্কা। ঠিক সে সময় একপাশে সরিয়ে রাখা বাজির উপর গিয়ে পড়ে আগুনের ফুলকি। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফেোরণ হয়। খুব কাছেই ছিল নাভিস্কা। তার বুক থেকে শুরু করে হাতে গভীর আঘাত লাগে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায় নেমে এসেছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে সন্ধ্যা হতে না হতেই বাজি ফাটাতে শুরু করেন সকলে। আশপাশের কয়েকজন বাসিন্দাও এই বাড়িতে এসেছিলেন। রাত যত বাড়ে ততই বাড়ে বাজির দাপট। তাল কাটল আচমকাই। রমেশের দাদা ভিগনেশ একসঙ্গে বেশ কয়েকটি বাজি পোড়ানোর চেষ্টা করেন। তার জেরে আগুনের ফুলকি এদিক সেদিক ছিটকে পড়ে।এভাবেই আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ে জমিয়ে রাখা বাজির উপর। মুহূর্তের মধ্য়েই একের পর এক বাজি ফাটতে শুরু করে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে নাভিস্কা সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। অন্য কেউ তাকে সাহায্যও করতে পারেননি। তার জেরে শরীরের একাধিক অংশে চোট লাগে নাভিস্কার। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করলেও শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি। দীপাবলির উৎসব ঘিরে এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে শিশুদের। তাই বাজি ফাটানোর সময় শিশুদের নিয়ে বাড়তি সতর্ক হওয়া দরকার। এক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি বলেই মনে করছে পুলিশ।