দেশ

স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জেরে কুয়োয় ঝাঁপ দিলেন স্বামী, বাঁচাতে গিয়ে মৃত ৫

স্ত্রীর সঙ্গে কোনও একটি বিষয়ে বচসা চলছিল স্বামীর। শেষমেশ উত্তেজনার বশে বাইক নিয়েই বাড়ির পাশে থাকা একটি কুয়োয় ঝাঁপ দিলেন স্বামী। তাঁকে প্রাণে বাঁচাতে গিয়ে কুয়োয় পড়ে মৃত্যু হয় আরও চারজনের । এই চারজনের মধ্যে দু’জন সম্পর্কে দাদা ও ভাই। হাজারিবাগ জেলার চারি এলাকায় নতুন বছরের প্রথম দিনের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঠিক কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে, চারি এলাকার একটি গ্রামে স্বামী সুন্দর কারমালি ও স্ত্রী রূপা কারমালির মধ্যে কোনও বিষয়ে বচসা চলছিল । ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান তাঁরা দু’জন ঝগড়া করতে করতে কুয়োর খুব কাছে চলে গিয়েছেন। এরপর আচমকাই জলে ঝাঁপ দেন স্বামী। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে প্রাণে বাঁচাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু দড়ি ছিঁড়ে যাওয়ায় আরও চারজন জলে পড়ে যান। শেষমেশ এই পাঁচজনের কাউকেই বাঁচানো সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুন্দরকে ঝাঁপ দিতে দেখে প্রথমে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন সূরজ এবং রাহুল নামে দুই স্থানীয় যুবক। তাঁরা জলে ঝাঁপ দেন। এর অল্প সময়ের মধ্যেই আশপাশে থাকা লোকজন বুঝতে পারেন তিনজনেরই জীবন সঙ্কটে । সে সময় বিনয় কারমালি ও পঙ্কজ কারমালি নামে আরও দুই স্থানীয় যুবক দড়ি নিয়ে জলে ঝাঁপ দেন। সকেলই আশা করেছিলেন ৫ জনই কুয়ো থেকে উঠে আসবেন। তবে শেষমেশ তা হল না। দড়ি কোনওভাবে ছিঁড়ে যায়। আর তার জেরে পাঁচজনেরই প্রাণ চলে যায়। জানা গিয়েছে, মৃতদের সকলেরই বয়স ২২ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। স্থানীয় চারি থানার এএসআই মহাবীর কুমার সাংবাদিকদের জানান, জল থেকে তোলার পর প্রথমে দু’জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা এই দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে আরও তিনজনের দেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। সকলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।