দেশ

পাঁচটি ট্রেন লেট, নিউদিল্লি স্টেশনে প্রবল ভিড়, তুমুল বিশৃঙ্খলা

 যাত্রীদের মাত্রাছাড়া ভিড়। সঙ্গে চরম অব্যবস্থা। দু’য়ের জেরে নিউদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে আবারও ফিরে এল গত ১৫ ফেব্রুয়ারির সেই দুঃস্বপ্নের রাতের আতঙ্ক। রবিবার রেল যাত্রীদের চরম হুড়োহুড়িতে তৈরি হয়েছিল পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করা হয়েছে দিল্লি পুলিস এবং রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে।  ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, একটি, দু’টি নয়। একযোগে পাঁচটি ট্রেন-শিবগঙ্গা এক্সপ্রেস, স্বতন্ত্রতা সেনানী এক্সপ্রেস, জম্মুগামী রাজধানী এক্সপ্রেস, লখনউ মেল এবং মগধ এক্সপ্রেসের কোনওটিই নির্ধারিত সময়ে ছাড়েনি। ফলে সবক’টি ট্রেনের যাত্রীদের ভিড় উপচে পড়ে নিউদিল্লি স্টেশনের ১২ এবং ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। স্বাভাবিক কারণেই হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়। অব্যবস্থা এতই চরম ছিল যে, একটা সময় ব্যারিকেড ডিঙিয়ে যাত্রীদের স্টেশনে ঢুকতে দেখা যায়। রেল বোর্ড সূত্রে যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতেই এই চমকে ওঠার মতো দৃশ্য দেখা গিয়েছে। যাত্রীদের আটকানোর জন্য নিরাপত্তা কর্মীরাও সেখানে ছিলেন না বলে অভিযোগ। যদিও দিল্লি পুলিস ও নর্দার্ন রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, যাত্রীদের মাত্রাছাড়া ভিড় হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু পদপিষ্ট তো দূর, সেরকম কোনও পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি। তার মধ্যেই কয়েকটি ট্রেন ছেড়ে দেওয়ায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এই ঘটনার পরেই উঠেছে কিছু গুরুতর প্রশ্ন-এই মুহূর্তে কুয়াশার নামগন্ধও নেই। তাহলে একসঙ্গে পাঁচটি ট্রেন কেন দেরিতে চলেছে? স্টেশনে স্টেশনে হোল্ডিং জোনের মতো গালভরা ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার কি তার কোনও কার্যকারিতাই ছিল না? আর যদি হোল্ডিং জোনে যাত্রী প্রতীক্ষার বন্দোবস্ত থাকেও, তাহলে ট্রেন লেটের ঘোষণা কেন অপেক্ষমান যাত্রীদের উদ্দেশে করা হয়নি? আর যদি ঘোষণা হয়ে থাকে, তাহলে লেট থাকা যাবতীয় ট্রেনের যাত্রীদের কেন একসঙ্গে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, শুধুই অব্যবস্থা নয়। রেলের নজরদারি যে শিকেয় উঠেছে, এই ঘটনায় তা আরও একবার প্রমাণিত।