একটানা বৃষ্টির জেরে বাড়ি ভেঙে পড়া, প্রাণহানির সাক্ষী থাকল গুজরাতে। গত তিনদিন ধরে লাগাতার বর্ষণে বিপর্যস্ত গুজরাতের জনজীবন। বৃষ্টির জেরে বোতাদে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বোতাদের লাথিদার গ্রামে বিপজ্জনকভাবে রাস্তা পার হতে গিয়ে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি জলের তোড়ে ভেসে যায়। গাড়িতে মোট ন’জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। পরে ছ’জন মহিলা এবং এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। একই পরিবারের সাত সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রশাসন সূত্রে খবর, বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ১০০ জনকে ইতিমধ্যে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জলমগ্ন ভাবনগরে আটকে পড়েন বহু মানুষ। তাঁদের উদ্ধার করে জেলার দমকল দপ্তর। কামলেজ গ্রামে ঝুঁকি নিয়ে ৫৮ জনকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেন দমকলকর্মীরা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ১০ জন মহিলা এবং ৯ শিশু। এছাড়া ৪০০ গবাদি পশুকেও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেবালিয়া, পালিয়াদ এবং সানসের গ্রামের মানুষজন জমা জল সরাতে নিজেরাই উদ্যোগী হন। তাঁরা যন্ত্র দিয়ে নালা কেটে জল বের করে গ্রামে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করেন। আগামী কয়েকদিন গুজরাতে আরও বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রেও। মুম্বই সহ শহরতলির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে মুম্বইতে। মুম্বই মেট্রোপলিটন রিজিয়ন, মুম্বই, থানে এবং পালঘরে রাস্তা ও রেলের লাইন জলের নীচে চলে গিয়েছে।
