সোমবার সন্ধ্যেবেলায় নিজের বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় আট বছরের মেয়ে। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পরই দিল্লির আর্মি ক্যান্টনটনমেন্ট এলাকা থেকে মৃত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাড়ি দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির বসন্ত বিহারে। সেখানের প্রতিবেশী এক কিশোর তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় সে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে শঙ্কর বিহার মিলিটারি স্টেশনের একটি খালি বাড়িতে গলায় দড়ি জড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিস সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেখান থেকেই কর্মকর্তারা ১৯ বছরের অভিযুক্তকে শনাক্ত করে। ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে তাকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হয়। পুলিসি জেরার সময় অভিযুক্ত তাঁর অপকর্মের কথা স্বীকার করে। সে প্রকাশ করে যে, নির্যাতিতা তাকে দাদা বলে ডাকত। এক ফাঁকা জায়গায় সে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছ। যখন নির্যাতিতা বাধা দেয়, তখন সে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। পুলিসকে বিভ্রান্ত করার জন্য, অভিযুক্ত নাবালিকার গলায় স্কার্ফ বেঁধে সেটিকে আত্মহত্যার মামলা বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিস আরও জানায়, রাত ১টার দিকে নির্যাতিতার বাবা-মা স্থানীয় পুলিসকে ফোন করেন। সকাল ৮টার দিকে মেয়েটির মৃতদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী ও পুলিস। নির্যাতিতা এবং তার পরিবারের বিচারের দাবিতে পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা শঙ্কর বিহারের কাছে প্রধান সড়কে বিক্ষোভ দেখান।


