তাপপ্রবাহের জেরে চরম পরিস্থিতির মুখোমুখি গোটা দেশ। দাবদহে ওড়িশায় ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান, চন্ডীগড়ে শোচনীয় অবস্থা। অন্যদিকে তীব্র জলকষ্টে ভুগছে দিল্লি। চরম তাপপ্রবাহ পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দিল্লিতে জলের ঘাটতি সঙ্কটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, লোকেরা শহরের বিভিন্ন অংশে জলের জন্য হাহাকার করছে।ওড়িশায় ৯ জন সম্ভবত হিট স্ট্রোকে মারা গেছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম এবং চূড়ান্ত পর্বের সময় উত্তরপ্রদেশে ৩৩ জন ভোট কর্মী মারা গেছে। ওড়িশায় বোলানগীর, সম্বলপুর, ঝাড়সুগুদা, কেওনঝার, সোনেপুর, সুন্দরগড় এবং বালাসোর থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজ্য সরকার তাপপ্রবাহের সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলিকে জরুরিভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ৩৩ জন বুথ আধিকারিক, বুথ কর্মী, হোম গার্ড, সাফাই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও, বালিয়া লোকসভা কেন্দ্রের সিকান্দারপুর এলাকায় একটি ভোট কেন্দ্রে একজন ভোটারের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লিতে তাপমাত্রা উত্তোরত্তর বেড়ে চলেছে, গত সপ্তাহে দিল্লির মুঙ্গেশপুরে তাপমাত্রা ছিল ৫২. ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উদ্বিগ্ন কেন্দ্র সরকার। রবিবার তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রিভিউ বৈঠক করেছেন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজস্থান, গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পর্যালোচনা করেছেন, বিশেষ করে উত্তর-পূর্বে, এবং ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যগুলিতে কেন্দ্র থেকে অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।উল্লেখ্য, গবেষণা বলছে, ৩১ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা, ৫০ ডিগ্রির বেশি আর্দ্রতা মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।