দেশ

স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই শক্তি হারাবে জাওয়াদ

এখন পশ্চিম-‌মধ্য বঙ্গোপাগরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। আর কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি অন্ধ্র-‌ওড়িশা উপকূলে বাঁক নেবে বলে খবর। শনিবার সকাল  ৮টা ৩০মিনিট নাগাদ অন্ধ্র্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ৷  আইএমডি-র প্রকাশিত লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘উত্তর দিকে যত এগোবে, আগামী ১২ ঘণ্টায় ততই দুর্বল হয়ে পড়বে জাওয়াদ ৷ ৫ ডিসেম্বর দুপুরে থেকে বিকেলের মধ্যে ওড়িশার পুরীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ ততক্ষণে ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হবে ৷ ওড়িশা উপকূল ধরে বাংলার দিকে যত এগোবে, আরও শক্তি হারাবে ৷’’ উত্তর, উত্তর-‌পশ্চিম দিকে সরতে সরতে রবিবার দুপুরে পুরী উপকূল ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা। এর ফলে শক্তিক্ষয় হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে জাওয়াদ। তারপর সেটি উত্তর, উত্তর-‌পূর্ব দিকে আরও সরতে সরতে সুন্দরবনের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে। যার জেরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা না থাকলেও নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। কলকাতায় দু-এক পশলা বৃষ্টিও হচ্ছে মাঝেমধ্যে‌। উপকূলবর্তী এলাকাতেও ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া এবং হুগলিতে। তবে রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও হুগলিতে। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই বর্ধমান এবং বীরভূমে। এরই পাশাপাশি সোমবারও দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।