দেশ

‘বোঝবার ভুল’! বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েই গুলিকাণ্ডে সাফাই, তদন্তে সিট গঠন করা হবে, লোকসভায় সুকৌশলে বার্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রত্যাশামতই নাগাল্যান্ডের ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ করে তোলার জন্য নাগাল্যান্ডবাসীকেই উল্টে কাঠগড়ায়  তুললেন। তিনি বলেছেন জঙ্গি সন্দেহে গুলি তালিয়েিছলেন জওয়ানরা। গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পরেই তাঁরা গুলি চালায়। গাড়িটি পালানোর চেষ্টাও করেছিল। তারপরে গ্রামবাসীরা চড়াও হয় জওয়ানদের উপর। আত্মরক্ষার্থেই তারা গুলি চালিয়েছিল বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সোমবার লোকসভায় এই ঘটনার হতাহতদের পরিবারের প্রতি দুঃখপ্রকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপত্তাবাহিনী ভুল করেই গুলি চালিয়েছে’। ঠিক কী হয়েছিল, নাগাল্যান্ডবাসীর ভূমিকা কী ছিল, সেটাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তাঁর বিবৃতিতে তুলে ধরেন। পাশাপাশি পরিস্থিতি শান্ত করতে তাঁর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। নাগাল্যান্ড গুলি-কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন ক রার কথা লোকসভায় জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নাগাল্যান্ড ইস্যুতে রাজ্য পুলিশের দায়ের করা স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআরে বলা হয়েছে, গোটা ঘটনাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাদের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের

অভিযানে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নেওয়া হয় এবং এটাই দস্তুর। কিন্তু নিরাপত্তাবাহিনী স্থানীয় পুলিশকে না এই অভিযানের বিষয়ে কিছু জানিয়েছিল, না তাদের সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেছে। রাজ্য পুলিশের রুজু এফআইআরের বয়ান বলছে, ‘লক্ষ্য করার মতো বিষয় হল, ঘটনার সময় রাজ্যপুলিশের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে কেউ ছিল না। না পুলিশকে আগে থেকে এই অভিযানের ব্যাপারে জানানো হয়েছিল। অতএব, এটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, নিরাপত্তাবাহিনীর মতলব কী ছিল?’  অন্যদিকে, এই ইস্যুতে তপ্ত সংসদ।  সোমবার সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই বিরোধী শিবির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের  বিবৃতি দাবি করে। দফায় দফায় মুলতুবি করতে হয় সংসদের অধিবেশন। চাপে পরে  সংসদের তরফ থেকে বলা হয়েছে,  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় বিকেল তিনটে নাগাদ ও রাজ্যসভায় বিকেল চারটে  নাগাদ নাগাল্য়ান্ড ইস্যুতে বিবৃতি দেবেন।   উল্লেখ, নাগাল্যান্ডে গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে অসম রাইফেলস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে,  ঘটনায় তারা ‘গভীর অনুতপ্ত’। শনিবার সন্ধ্যায় বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৪ জন গ্রামবাসী মারা যান। এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।