রাত পোহালেই কলকাতা পুরভোট। পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তৎপর পুলিশ । চলছে নাকা তল্লাশি। কলকাতা পুরভোটের আগে শুক্রবার রাতে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন খোদ পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। শহরের প্রত্যেকটি ডিসি অফিসে নিজে যান তিনি। ডিসি অফিসের আধিকারিকদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। নিরাপত্তায় যাতে সামান্য ত্রুটিও না থাকে, সেদিকে সকলকে নজর রাখার নির্দেশ দেন তিনি। রাত থেকে শহরের অলিগলিতে শুরু হয়েছে পুলিশের রুটমার্চ। রাজ্য নিবাচন কমিশনের তরফে ওই ১৬ জন পুলিশ আধিকারিকের নাম ও ফোন নম্বরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে । এছাড়াও ভোট চলাকালীন এলাকায় এলাকায় টহল দেবে কলকাতা পুলিশের মোবাইল ভ্যান । ভোটপর্বের আগে, শনিবার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে কলকাতা পুলিশে । লালবাজার থেকে যেসব এলাকাকে উত্তেজনা প্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, এদিন সকাল থেকেই সেইসব এলাকায় টহল দিতে দেখা যায় কলকাতা পুলিশের কমব্যাট বাহিনীকে ৷ এদিন নিউ মার্কেট থানা, মুচিপাড়া থানা-সহ একাধিক যায়গায় কলকাতা পুলিশের কমব্যাট বাহিনী টহল দিয়েছে। মূলত ভোটারদের আশ্বস্ত করার জন্যই এই ব্যবস্থা লালবাজারের । পাশাপাশি, এদিন হাওড়া ব্রিজ ও ইএম বাইপাসে পুলিশকে দেখা যায় গাড়ি থামিয়ে নাকা চেকিং করতে । ইতিমধ্যেই নিউ মার্কেট থানা এলাকার একাধিক হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশ নির্দেশ দিয়েছে ভোটের সময় বাইরে থেকে যাঁরা হোটেলে এসে উঠছেন, তাঁদের সম্পর্কে স্থানীয় থানায় জানাতে হবে ৷ তাই কলকাতার প্রতিটি হোটেলের রেজিস্টার খতিয়ে দেখা হচ্ছে।কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত, চিংড়িহাটা, ঢালাই ব্রিজ, হাওড়া ব্রিজ, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবারের মতো একাধিক জায়গায় চলছে নাকা তল্লাশি। কারা এই মুহূর্তে হোটেলে এসে উঠেছেন, তাঁদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। নতুন কেউ এলে, তা-ও থানায় জানাতে বলা হয়েছে। গোয়েন্দাদের নজরদারি থাকছে হাওড়া থেকে কলকাতাগামী লঞ্চ ও ছোট নৌকার উপরও। আজ থেকেই ৭৮টি ক্লাসটার মোবাইল টহল দিচ্ছে শহরজুড়ে। পুরো কলকাতাকে ভাগ করা হয়েছে সেক্টরে। একেকটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ১৮ জন ডিসি ও তাঁদের অধীনে ৩৩ জন এসি পদমর্যাদার আধিকারিক সেক্টরগুলিতে টহল দেবেন। বিশেষ বাহিনী থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে। গত কয়েকবার কলকাতায় যে এলাকাগুলিতে গোলমাল হয়েছিল, সেদিকে থাকছে পুলিশের বিশেষ নজর। কোনও গোলমালের খবর পেলে কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছবে। ভোট ও গণনার জন্য কলকাতার বেশ কিছু রাস্তায় গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।