দেশ

‘সতর্ক থাকতে হবে, ভয় পেলে চলবে না’, করোনা নিয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে প্রধান হাতিয়ার ভ্যাকসিন। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আরও একবার এ বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যগুলির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । একদিকে দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, অন্যদিকে ওমিক্রনের দাপট! এই দুইয়ের জেরে বিভিন্ন রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা নানা আশঙ্কার মধ্যে পড়েছে। সমস্ত বিষয় নিয়েই এদিনের বৈঠকে আলোচনা করেন তিনি। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।   সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০০ বছরে সব থেকে বড় মহামারী ভারতের বুকে। দু’ বছর ধরে এই লড়াই চলছে। পরিশ্রমই এই পরিস্থিতি জয়ের একমাত্র পথ। ১৩০ কোটির দেশ লড়াই করে এই করোনাকে হারাবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন নরেন্দ্র মোদী। ভয় নয়, সতর্ক থেকেই এই লড়াই করার আহ্বান জানান তিনি। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওমিক্রন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের দেশেও ছড়াচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়াইয়ের সময়ই পরবর্তী স্ট্রেনের জন্য তৈরি হতে হচ্ছে। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল হাতিয়ারই হল টিকা। ৯২ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক টিকার প্রথম ডোজ় নিয়েছেন।”  এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ের রণকৌশল ঠিক করার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতি ও বেঁচে থাকার জন্য সংস্থানও তৈরি রাখতে হয়। সে কারণেই তাঁর পরামর্শ, ‘লোকাল কনটেনমেন্ট’ জোনে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আতঙ্ক নয় সতর্ক থেকে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই আমাদের ২ বছরের অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর কথায়, “আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের দু’ বছরের অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। দেশব্যাপী প্রস্তুতিও আছে। আর্থিক গতিবিধি যত কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ততই ভাল।” এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন,  “টিকাকরণ নিয়ে কোনওরকম ভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হলে তাকে প্রশ্রয় দেবেন না। অনেক সময়ই শুনি অনেকে বলেন, টিকা দেওয়ার পরও সংক্রমণ হচ্ছে তা হলে টিকা নিয়ে কী লাভ! মাস্ক পরা নিয়েও এরকম ভুল খবর ছড়ায়। এই ধরনের অপপ্রচারের প্রতিবাদ করা খুবই দরকার।”