আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পুরভোটের সম্ভাবনা
আগামী ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর ও আসানসোল পৌরনিগমে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা করেন সমাজকর্মী বিমল ভট্টাচার্য ৷ মামলাকারীর বক্তব্য, রাজ্যে যখন করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, তখন এক থেকে দেড় মাসের জন্য চারটি পৌরনিগম নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া উচিত । পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফের ভোট করা যাবে । আর রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই স্বতন্ত্র এবং স্বাধীনভাবে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে । ২২ জানুয়ারির চার পৌরনিগমের নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আজই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়ে কমিশনকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়েছিল আদালত ৷ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ৷ আদালতের নির্দেশের পরই রাজ্য সরকারের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা ৷ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না-হলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আপাতত ২২ জানুয়ারি হচ্ছে না চার পৌরনিগমের নির্বাচন ৷ তবে রাজ্যের বকেয়া পৌরভোট কতদিন পিছোচ্ছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি ৷ তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ২ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে চার পৌরনিগমের নির্বাচন ৷ সেক্ষেত্রে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে ভোট ।