আগামী ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ওই সময় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় ভোটগ্রহণ করা নিয়ে সমস্যা হবে এই কথা তুলে ধরে এদিন রাজ্য সরকারের তরফে চিঠি পাঠানো হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। আর সেই চিঠিতে ভোটগ্রহণের দিন বদলের আর্জিও জানানো হয়েছে। এখন দেখার বিষয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোটের এই দিনক্ষণ বদল করে নাকি তাঁরা ১২ তারিখেই ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। রাজ্য সরকারের তরফে থেকে যে চিঠি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে দেওয়া হয়েছে তাতে তুলে ধরা হয়েছে দুটি বিষয়। ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। আর ঠিক তার একদিন আগে ও একদিন পরে রয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের একাধিক বিষয়ের পরীক্ষা। ওই দুই দিন অর্থাৎ ১১ ও ১৩ এপ্রিল যে সব স্কুলে পরীক্ষা চলবে সেই সব স্কুলে কীভাবে ১২ তারিখ ভোট করানো হবে সেই বিষয়টি। দ্বিতীয় যে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তা হল ৮টি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা উপনির্বাচনে শিক্ষকদের ভোটকর্মী হিসাবে আদৌ পাওয়া যাবে কিনা সেই বিষয়টি। এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ছিল সর্বদলীয় বৈঠক। সেই বৈঠকেই তৃণমূলের তরফে দেবাশিষ কুমার মৌখিক ভাবে ভোটের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান। পরে রাজ্য সরকারও চিঠি পাঠালো রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনই।