জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তলবে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর দুই আইনজীবী সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন প্রথমে। তখনই জল্পনা শুরু হয়, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল হয়ত হাজিরা দেবেন না। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাড়ে এগারোটার কিছু পরে সিবিআই দফতরে হাজির হন অনুব্রত। বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর বীরভূমে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার খুন হন। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে। সেই ঘটনাতেই অনুব্রতকে তলব করা হয়। বীরভূমের বাড়িতে যাওয়ার পর বুধবার ফের ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইয়ের সমন পেয়েছিলেন অনুব্রত। তার কিছু পরেই সন্ধে নাগাদ কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন অনুব্রত। তবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, শুক্রবার ডাক্তার দেখানোর ব্যাপার আছে। তার জন্যই কলকাতায় যাচ্ছেন
তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জল্পনা শুরু হয়, তিনি সিবিআই দফতরে যাবেন কি না। সকাল ১১টা পর্যন্তও চিনার পার্কের বাড়িতে ছিলেন অনুব্রত। তাঁর বাড়ির সামনে সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদের প্রচুর ভিড় ছিল। সাড়ে এগারোটার কিছু পরে সিজিও কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা দেয় অনুব্রতর গাড়ি। সিবিআই দফতরে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। সিবিআই-এর ডাক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ”কিচ্ছু বলব না।” তবে, শরীর কিছুটা ভালো আছে বলেও জানান তিনি। এর আগে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই দফতরে যাওয়ার সময়ই নাটকীয়ভাবে অনুব্রতর গাড়ি বাঁক নিয়েছিল এসএসকেএমের দিকে। দীর্ঘদিন তিনি ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে৷ কিছুটা সুস্থ হয়ে পরে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন তিনি৷ চার ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ চলার পর অসুস্থ বোধ করায় ফের তিনি উডবার্ন ওয়ার্ডে চলে যান৷ এই সময়কালে প্রায় দেড় মাস কলকাতায় চিনার পার্কের বাড়িতেই ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।