জেলা

এক দশক পর পাহাড়ে শুরু ভোটগ্রহণ

রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রবিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে দার্জিলিং জেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পালা। পাহাড়ে হচ্ছে জিটিএ বা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিন্সট্রেশনের নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আর সমতলে চলছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের(SMP) নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণের পালা। পাহাড়ে এদিন সকাল থেক্লেই আকাশ মেঘলা। মাঝে মাঝেই হচ্ছে বৃষ্টি। তাই খুব সকালে পাহাড়ের কোনও বুথেই ভিড় সেভাবে চোখে পড়ছে না। তবে সমতলের বুথগুলিতে স্বভাবিক ভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে। পাহাড়ে ভোটগ্রহণ নিয়ে কোনও গন্ডগোলের ছবি পাওয়া না গেলেও সমতলের বেশ কিছু বুথ থেকে বিক্ষিপ্ত অভিযোগ মিলছে। এমনকি সেখানে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এবারে প্রায় ১০ বছর বাদে পাহাড়ে জিটিএ’র নির্বাচন হচ্ছে। সেখানে ৪৫টি আসনের জন্য ভোটগ্রহণের পালা চলছে। তবে এবারের নির্বাচনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ ও বিজেপি লড়াই করছে না। তবে ৩ দলেরই বেশ কিছু প্রার্থী নির্দল হিসাবে লড়াই করছেন। তবে এই নির্বাচনে ৪৫টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে হামরো পার্টি। ৩৫টি আসনে লড়াই করছে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। তৃণমূল ১০, সিপিএম ১১ ও কংগ্রেস ৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। মোট ৭ লক্ষ ৩২৬ জন ভোটার এবারে পাহাড়ে মোট ২৭৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। সেখানে মোট বুথের সংখ্যা ৯২২টি। এর মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৫টি বুথকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছেন। পাহাড়ের এই ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য পুলিশ। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে সেই নির্বাচনের জন্য। পাহাড়ের ৪টি মহকুমার মধ্যে দার্জিলিঙে ১৬, কালিম্পঙে ১৩, কার্সিয়ঙে ১৩ ও মিরিকে ৩টি আসন রয়েছে জিটিএ’র। অন্যদিকে সমতলে এদিন ভোট হচ্ছে, মহকুমা পরিষদের ৯টি আসন, ৪টি পঞ্চায়েত সমিতির ৬৬ আসনে ও ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৬২টি আসনে। ২০২০ সালে মেয়াদ শেষ হয় শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের। কিন্তু কোভিডের জন্য সেখানে ২ বছর বাদে ভোট করানো হচ্ছে। এদিন শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামীণ এলাকার প্রায় ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ভোটার তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। প্রায় ৫ হাজার পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে এই নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে পালন করানোর জন্য। দার্জিলিং জেলার এই দুই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে হয় তার জন্য পানিট্যাঙ্কিতে ভারত-নেপাল সীমান্ত সিল করা হয়েছে।