কলকাতা

“হিম্মত থাকলে সিজিও কমপ্লেক্সে ধরনায় বসুন মুখ্যমন্ত্রী”, কটাক্ষ সুজনের

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “হিম্মত থাকলে সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ধরনায় বসুন। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সময় যেমন বসে ছিলেন।” সুজন আরও বলেন,”পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি স্বাভাবিক ঘটনা। হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর যন্ত্রণার শিকার হয়েছে ৷ বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। তাই খুব স্বাভাবিক কারণে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন।” তবে এই ঘটনায় রাজ্যের সম্মান নষ্ট হল বলে তিনি মনে করেন ৷ তাঁর কথায়, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ৷ দুর্নীতি আর বেআইনি লুঠের কারণে তিনি গ্রেফতার হলে পশ্চিমবঙ্গের মান-সম্মান নষ্ট হয়। বাংলার সমাজ জীবন কলুষিত হয়। ফলে এটা আনন্দের নয়, দুঃখের বিষয়। বাংলার কুলাঙ্গাররা বাংলার সম্মানকে নষ্ট করেছে।” সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেন সুজন ৷ তিনি বলেন,”আমি শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, কান পর্যন্ত তো গেল মাথাটা কবে আসবে? মুখ্যমন্ত্রীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠর যদি এত অপরাধ করে থাকেন তাহলে সেই দায় মুখ্যমন্ত্রী অস্বীকার করবেন কী করে? রাস্তায় বসে কখন অবস্থান বিক্ষোভ করবেন মুখ্যমন্ত্রী? রাজীব কুমারের সময় তো রাস্তায় বসে ছিলেন। আর পার্থ চ্যাটার্জি তো তৃণমূলের মহাসচিব। দায় তৃণমূলেরই। ” অন্যদিকে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যেরও দাবি, “কান ধরা পড়েছে। মাথা কবে ধরা পড়বে? চাকরি চোরদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। যার অনেকটা বড় অংশ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে হয়েছে। অর্থাৎ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরা কান। যার অনুপ্রেরণা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের কিছুটি হওয়ার নেই সেই মাথাকে ধরা হবে কবে? মাথাকে বাঁচিয়ে বা মাথার পরিবারের সদস্যদের বাঁচিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত কানদের গ্রেফতার করলে হবে না। যাঁরা আরও বড় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, যাঁরা গোটাটার প্রশ্রয় দিয়েছেন, তাদের গ্রেফতার করতে হবে। পার্থর গ্রেফতারির মধ্যে এ লড়াই শেষ হয়ে যায় না। লড়াই চলবে ৷ এসএফআই লড়বে।”