অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পর এবার মোনালিসা দাস। খোঁজ মিলল মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের আরেক ঘনিষ্ঠের। যিনি কিনা বীরভূমে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সম্পত্তির দেখভাল করতেন। মোনালিসা দাস পশ্চিম বর্ধমানের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। আর সেই সূত্রেই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ, ঘনিষ্ঠতা বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে বর্তমানে মোনালিসা যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির অধিকারী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ২০১৪ সালে আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন মোনালিসা দেবী। সেসময় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সূত্র বলছে, খুব কম দিনের মধ্যেই অধ্যাপক থেকে বিভাগীয় প্রধানের পদে উন্নীত হন মোনালিসা দাস। এই উত্থান কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনেই? উঠছে সেই প্রশ্নও।এ তো গেল মোনালিসা দেবীর কেরিয়ারে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন। তাঁর সম্পত্তির উৎস নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে যথেষ্ট। মোট ১০ টি ফ্ল্যাটের মালকিন অধ্যাপক মোনালিসা দাস। শান্তিনিকেতন, নদিয়ায় বাড়ি ছাড়াও একাধিক জায়গায় তাঁর নামে ফ্ল্যাট রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এই সবই আসলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তিনিই মোনালিসা দেবীকে সেসব ফ্ল্যাট দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তার সত্যতা যাচাই করতে মোনালিসা দেবীকেও জেরার কথা ভাবছে ইডি। বীরভূমের শান্তিনিকেতনে গোয়ালপাড়ায় একটি বাগান বাড়ি, ফুলডাঙ্গায় একটি বাগান বাড়ি ও গেস্ট হাউস সহ ১০টি বাড়ি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকা সূত্রে খবর, এর সবই দেখাশোনা করতেন ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ মোনালিসা দাস। বেশিরভাগ সময়ই এই সব বাড়ির দেখাভাল করতেন মোনালিসা দাস। বিশ্বভারতীর ছাত্রী হওয়ার সূত্রে প্রায়শই শান্তিনিকেতনে আসা-যাওয়া ছিল মোনালিসা দাসের। এছাড়া বোলপুরের জামবুনি এলাকায় মৃণালিনী আবাসন নামে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আরও এক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এই আবাসনের একটি তলা পুরো তাঁর। প্রতিবেশীদের দাবি, এই ফ্ল্যাটে আসতেন পার্থবাবু ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর এই বাড়িগুলিতেও ইডি তল্লাশি চালাতে পারে বলে সূত্রে খবর। যদিও গোটা বিষয় নিয়ে মোনালিসা দাসের প্রতিক্রিয়া, “উনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, আমি একজন শিক্ষিকা। এই প্রয়োজনে যোগাযোগ, কথাবার্তা হতেই পারে। এর বাইরে কিছু নয়।”