কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির মেয়ের বিরুদ্ধে উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। গোয়ায় বেআইনি পানশালা চালাচ্ছে, এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার জইশ ইরানিকে (স্মৃতি ইরানির মেয়ে) শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছেন গোয়ার আবগারি দফতরের কমিশনার নারায়ণ এম গাদ ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির মেয়ে জোয়েশ ইরানি গোয়াতে অবৈধ ভাবে একটি পানশালা চালাচ্ছে। মেয়ের বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠার পরই ফের কংগ্রেস দলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন স্মৃতি ইরানি। ফের তীব্র ভাষায় কংগ্রেসকে তুলোধনা করতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন স্মৃতি ইরানি। এছাড়াও তিনি বলেন, ” দুই মাঝবয়সি কংগ্রেসী পুরুষ, এক ১৮ বছরের মেয়ের চরিত্র হনন করলেন। তার একমাত্র দোষ হল তার মা রাহুল গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে কথা বলে।” তিনি আরও বলেন, ”আমার মেয়ে কলেজে পড়ে। সে বার চালায় না। অনুগ্রহ করে নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখুন। আমার মেয়ের নাম কোথায়? তারা তথ্যের অধিকার আইনের ভিত্তিতে আমার মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। ওর দোষ হল, ওর মা দুই গান্ধীর ৫০০০ কোটি টাকা লুঠের বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিল। আমার মেয়ে কোন রাজনীতিবিদ নয়, একজন ছাত্রী হিসাবে সে স্বাভাবিক জীবনযাপন করে।” শুধু তাই নয়, এই মিথ্যা অভিযোগের কারণে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এবং পবন খেরার কাছে, শনিবার সন্ধ্যার মধ্যেই আইনি নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্মৃতি। এখানেই না থেমে রাহুল গান্ধীকে ফের ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জও করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।এ নিয়ে মাঠে নামে কংগ্রেস ৷ দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন পবন খেরা, জয়রাম রমেশ এবং মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি নেটা ডি’সুজা ৷ সেখানে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে বরখাস্ত করার দাবি তোলেন ৷ এমনকী মনে করিয়ে দেন ২০০৪ সালে এই মন্ত্রীই গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছিলেন ৷ উল্লেখ্য, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি ৷ নেটা ডি’সুজা সাংবাদিকদের আরও বলেন, “আরটিআই কর্মী রডরিগেজের নিরাপত্তা প্রয়োজন ৷ এই ঘটনার পরে তাঁর সঙ্গে কী হবে, কেউ জানে না ৷ প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে দেশজুড়ে ৷”