প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে থেকে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দিল পুলিস। ২০১৪ সালে যাঁরা প্রাথমিকে টেট পাস করেছেন, তাঁদের রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বেশ কয়েকজন। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সল্টলেকের করুণাময়ী। উত্তেজনার পারদ চড়ছিল ক্রমশই। হাইকোর্টের নির্দেশের পর রণকৌশল পাল্টে ফেলেছিলেন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণরা। আগের জায়গা থেকে কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। সবাই একসঙ্গে নয়, চারজনের দল তৈরি করে বসে রয়েছেন আলাদাভাবে। রাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ-সহ আরও অনেকেই। মধ্যরাতে বিশাল বাহিনী নিয়ে করুণাময়ীতে হাজির হন বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের পদস্থ আধিকারিকরা। সঙ্গে ব়্যাফও। প্রথমে মাইকে আন্দোলনকারীদের রাস্তা খালি করে দিতে বলা হয়। সময়সীমা ২ মিনিট। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পরেও যখন নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন টেটের চাকরিপ্রার্থীরা, তখন আর চুপ করে থাকেনি পুলিস। অভিযোগ, রাস্তা থেকে রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় পুলিসের জিপে।