দেশ

‘চিন এক ইঞ্চিও জায়গা দখল করতে পারবে না’, হামলা প্রসঙ্গে বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

 ‘যতক্ষণ নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, ততক্ষণ দেশের এক ইঞ্চিও জায়গা কেউ দখল করতে পারবে না।’ ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। পাশাপাশি, ভারতীয় সেনার অবদানকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াংয়ে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই সুর চড়াতে শুরু করে বিরোধী দল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, চিন ইস্যুতে সত্যি ঘটনা লুকানোর চেষ্টা করছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। মঙ্গলবার এই নিয়ে পালটা আক্রমণ শানাতে গিয়ে রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশনের প্রসঙ্গ তোলেন অমিত শা। টেনে আনেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সময়কার ইতিহাসকেও।রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৫-০৬ ও ২০০৬-০৭ অর্থবর্ষে চিনা দূতাবাস থেকে এই সংস্থাকে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। ভারত-চিন সম্পর্ক মজবুত করা এবং ঋণ শোধের কথা বলে ওই টাকা দিয়েছিল চিনা দূতাবাস। কোন ঋণ শোধ করার জন্য টাকা দিয়েছিল চিন? ১৯৬২-তে যে বিপুল জমি তাঁরা কব্জা করে নিয়েছে, সেই ঋণ? নাকি পণ্ডিত নেহরুর ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য ভারতের রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ না পাওয়ার ঋণ?’ এরপর আরও একধাপ এগিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন অমিত শা বলেন, ‘গালওয়ানে যখন ভারতীয় ফৌজ চিনের সঙ্গে লড়ছিল, তখন চিনা দূতাবাসের আধিকারিকদের কারা নৈশাহারে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন? ২০০৬-তে চিনা দূতাবাস অরুণাচলকে তাদের অংশ বলে দাবি করে। চিনের এলাকার বাসিন্দা এই যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭-এ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী দর্জি খাণ্ডুকে ভিসা দেয়নি বেজিং। ২০০৯-এ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের অরুণাচলপ্রদেশ সফরে আপত্তি জানিয়েছিল চিন। ২০১০-এ জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বিশেষ ভিসা দেওয়া শুরু করেছিল চিন। ২০১১-য় চিনা হুমকির জেরেই ডেমচকে সীমান্তবর্তী এলাকার বন্ধ রেখেছিল কেন্দ্র। এগুলির স্পষ্ট জবাব কবে দেবে কংগ্রেস?’ সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক কালে অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনা বিমানের কার্যকলাপ ধরা পড়েছে। আর তারপর থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনাবাহিনী। অন্যদিকে আজ সংসদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, তাওয়াং সংঘর্ষে ভারতীয় সেনাদের কেউ হতাহত হয়নি। তবে তাতে বিরোধীদের আক্রমণ এড়ানো যাচ্ছে না।