ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের এক তরুণীর। মৃত তরুণীর নাম নন্দিতা দাস(১৮)। বাড়ি ভাটপাড়া পুরসভার নেতাজি কলোনি। প্রাথমিক তদন্ত মনে করা হচ্ছে কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও অনুষ্ঠান বাড়িতে নাচতে বাধ্য করা হয়েছিল ওই তরুণীকে। তা থেকেই গোলমালের জেরে এমন ঘটনা। মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তরুণীর পরিবারের দাবি পরিকল্পনা করেই মেরে ফেলা হয়েছে তাদের মেয়েকে। পরিবারের পরিচিত ছিলেন শ্যমনগরের রাহুতারা শালবাগানের বাসিন্দা খুশি মজুমদার। সেই খুশিই কেটারিংয়ের কাজের জন্য নন্দিতাতে নিয়ে যায় বিহারের সিওয়ানে। সেখানে তার গন্তব্য ছিল মাধবপুর গ্রাম। পরিবারের দাবি, সেখানে কেটারিংয়ের কাজের পরিবর্তে অনুষ্ঠানে নন্দিতাকে নাচার জন্য জোর করা হয়। বিবাদের শুরু সেখান থেকেই। নন্দিতা দাসের বাবা মৃত্যুঞ্জয় দাসের দাবি, নাচ নিয়ে বিবাদের জেরে নন্দিতাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ওকে। এদিকে, ওই ঘটনায় জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তারপরই পুলিস বিহারে গিয়ে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত খুশি মজুমদার, সুজিত ঘোষ, অমিত বিশ্বাস-সহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করে এনেছে। তাদের ব্যারাকপুর আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়া হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।