দেশ

‘জাতীয় পতাকার আড়ালে ভারতকে লুটছেন আদানি গ্রুপ’, ধনকুবের গৌতম আদানিকে পালটা প্রতিক্রিয়া হিন্ডেনবার্গের

মার্কিন লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গের প্রকাশিত রিপোর্টের পাল্টা রিপোর্ট প্রকাশ করল ভারতের আদানি গোষ্ঠী। কোম্পানির ভ্যালুয়েশন ও শেয়ারের দাম বাড়াতে আর্থিক বেনিয়ম করেছে আদানি গোষ্ঠী! সম্প্রতি এই অভিযোগে এনে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন সংস্থাটি। যার পর থেকে আদানি গোষ্ঠীর একাধিক কোম্পানির শেয়ারে ধস নামে। শেয়ার দর বাড়াতে কারচুপির এই অভিযোগের তথ্য সামনে আসার পরই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয় আদানি গোষ্ঠী। সংস্থার ভাবমূর্তি রক্ষায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিন্ডেনবার্গের ৩২ হাজার শব্দের রিপোর্টের পাল্টা ৪১৩ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে আদানি গোষ্ঠী। তাতে বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে ভারতীয় কোম্পানিকে বদনাম করতেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে যে প্রশ্নগুলি উত্থাপন করা হয়েছে, তার অধিকাংশ উত্তরই পূর্বে বিভিন্ন কোম্পানির প্রকাশিত রিপোর্টে দেওয়া রয়েছে। ওই রিপোর্টটিতে ভারতীয় কোম্পানির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘আক্রমণ’ –র ব্যাপারটিও তুলে ধরা হয়েছে। এর জবাব দিতেও অবশ্য মোটেই দেরি করেনি হিন্ডেনবার্গও। তাঁরা প্রতিক্রিয়ায় বলে, ‘ভারতকে আদানি গোষ্ঠীই পিছিয়ে রেখেছে।’ দেশভক্তি দিয়ে তারা জালিয়াতি আড়াল করারও চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে হিন্ডেনবার্গ।

রবিবার ৪১৩ পাতার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় আদানি গ্রুপের তরফে। সেখানে বলা হয়, “কল্যাণকর উদ্দেশ্যে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। স্বাধীন ভাবে গবেষণা না করেই উদ্দেশ্যহীন ভাবে এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও সংস্থা নয়, সমগ্র ভারতকে আক্রমণ করেছে এই রিপোর্ট। ভারতের স্বাধীনতা, সততার পাশাপাশি ভারতীয় সংস্থাগুলির মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নানাক্ষেত্রে উন্নতি করছে ভারত, কিন্তু ভারতের এগিয়ে যাওয়া নিয়েও নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে এই রিপোর্টে।” এহেন বিবৃতির পরেই পালটা দেওয়া হয় হিন্ডেনবার্গের তরফে। মার্কিন সংস্থা সাফ জানিয়ে দেয়,”ভারতের উন্নতির সঙ্গে নিজের আর্থিক বৃদ্ধিকে জুড়তে চাইছেন আদানি। আমরা মনে করি, ভারত ভবিষ্যতের সুপারপাওয়ার দেশ। তবে ভারতের উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করছেন আদানি নিজেই। গায়ে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে দেশকে লুট করছে আদানি গ্রুপ। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিও যদি প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলেও তাঁর অপরাধের গুরুত্ব কমে যায় না।”