কলকাতা

অনশন ছেড়ে আলোচনায় বসুন, ডিএ ইস্যু নিয়ে টুইটে বার্তা রাজ্যপালের

ডিএ ইস্যু নিয়ে ফের মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । শুক্রবার আন্দোলন প্রত্যাহার করার আর্জি জানিয়েছিলেন । শনিবার টুইটে অনশন ছেড়ে আলোচনায় বসার অনুরোধ রাজ্যপালের। শনিবার রাত ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ এরকমই টুইট ভেসে উঠল রাজভবনের পেজ থেকে । যা দেখে বিস্মিত নেটিজেনরা । কারণ রাজ্যের কোনও ইস্যুতে এ জাতীয় টুইট দেখা যেত কয়েকমাস আগে অর্থাৎ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের আমলে । ধনকড়ের চেয়ারে বসলেও এতদিন পর্যন্ত পূর্বসূরির টুইটবাগ্মীতা আয়ত্বে আনতে পারেননি উত্তরসূরি । নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টও বিশেষ সক্রিয় নয় । সেই আনন্দ বোসের তরফে এহেন বার্তায় রাজ্যরাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে ।এদিন রাজভবনের তরফে ওই টুইটে লেখা হয়েছে রাজ্যপাল গভীরভাবে ব্যথিত যে কর্মচারীদের অনশন চতুর্থ সপ্তাহে প্রবেশ করছে । সমস্যা জটিল হতে পারে কিন্তু সবসময় তা থেকে বেরিয়ে আসার একটি সহজ উপায় আছে । আমাদের ভাইদের মূল্যবান জীবন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । আরেকটি টুইটে লেখা হয়েছে যারা তাদের স্বপ্নের জন্য ক্রমাগত উপোস করছে । রাজ্যপাল তাদের এটি এই অনশন শেষ করে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিচ্ছেন । গত চার সপ্তাহ ধরে বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীরা । তাঁদের দাবি অবিলম্বে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন শাসকদল সমর্থিত কর্মী সংগঠনের সদস্যরাও । ১০ মার্চ বনধও ডেকেছিল যৌথমঞ্চ । পরে নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় বনধ সফল হয়নি । নবান্নে ৯০ শতাংশের বেশি উপস্থিতি । যারা অনুপস্থিত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । অন্যদিকে রাজ্যের দাবি কেন্দ্র পাওনা মেটাচ্ছে না । তা পেলেই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হবে । ফলে ক্রমশ চাপানউতোর বাড়ছে দু তরফে । ঠিক এই সময়েই টুইট এল রাজ্যপালের তরফে ।আরও পড়ুন পদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা উচিত রাজ্যপালের। এত দিন রাজ্য সরকারের বিরোধীতায় একসময় প্রতিদিন টুইট আসত প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের তরফে । রাজ্যের সঙ্গে তলানিতে পৌঁছেছিল তাঁর সম্পর্ক । আনন্দ যুগের শুরুতে সেই ছবিটাই বদলে গিয়েছে । একাধিক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছে । যদিও কয়েকদিনেই এই ছবি বদলাতে শুরু করে । নিশীথ প্রামাণিকের গাড়ি ভাঙচুর কাণ্ডে তাঁর মন্তব্যে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন শাসকদলের একাধিক নেতামন্ত্রী । এমনিতেই ডিএ ইস্যুতে খানিক কোণঠাসা রাজ্য। সে সময় আনন্দের এহেন টুইটের কী জবাব জোড়াফুল শিবিরের তরফে আসে তা দেখতেই উৎসুক রাজনৈতিক মহল ।”