কলকাতা

মদের আসর থেকে বন্ধুকে বাড়ি ছাড়তে গিয়ে খুন ট্যাংরার নিখোঁজ যুবক, রহস্যমৃত্যুর অভিযোগে থানা ঘেরাও করে চলল বিক্ষোভ

ট্যাংরার চিনাপাড়ায় মদ্যপানের আসর শেষে এক বন্ধুকে বাড়ি পৌঁছে দিতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন এক যুবক।  নাম ঝুনু রানা (৩৫)। ট্যাংরা থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তাঁর বাড়ি। পরিবারের দাবি, ৩ মার্চ থেকে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওইদিন দুই বন্ধুর সঙ্গে মদ্যপান করেন তিনি। এরপরে বাইকে করে বন্ধু গুলাম রব্বানিকে বাড়িতে ছাড়তে যান। সেই বন্ধুর বাড়ি তিলজলা থানা এলাকায়। অভিযোগ, তারপর থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল না ঝুনুকে। সেই রাত থেকেই তাঁর ফোন সুইচড অফ ছিল। এই ঘটনার পর থেকে রহস্যজনকভাবে বেপাত্তা হয়ে যায় গুলাম রব্বানি ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদেরও ফোন বন্ধ ছিল। যদিও বৃহস্পতিবার রব্বানিকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, রব্বানিই খুন করেছে ঝুনুকে। নিখোঁজের ভাই বিক্রম রানার অভিযোগে, থানায় মিসিং ডায়েরি করা হলেও প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। যুবকের রহস্যমৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত ট্যাংরা। গত ৩ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিল ট্যাংরার বাসিন্দা ঝুনু রানা (৩৪)। নিখোঁজ হ‌ওয়ার দু’দিন পরে ট্যাংরা থানায়

অভিযোগ দায়ের করে ঝুনুর ভাই বিজয় রানা। তাঁর অভিযোগ, গুলাম রব্বানি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ভাই যে বেরিয়েছিল সে কথা পুলিশকে জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি সিসি ফুটেজও তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপর‌ও ট্যাংরা থানা তদন্তে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ পরিবারের লোকজনের। একসময় ট্যাংরা থানার উপরে আস্থা হারিয়ে লালবাজারের দ্বারস্থ হয় পরিবার। বৃহস্পতিবার গুলাম রব্বানিকে দিল্লি থেকে ধরে আনে লালবাজারের পুলিশ। সে কথা জানাজানি হ‌ওয়ার পর বিকেল চারটে থেকে ট্যাংরা থানা ঘেরাও করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ করা হয় গোবিন্দ খটিক রোড। শেষ পর্যন্ত রাত ন’টা নাগাদ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপন সাহার হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। ঝুনুর ভাই বিজয় রানা জানিয়েছেন, পুলিশের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন চৌবাগা খালে মেরে ঝুনুর দেহ ফেলে দিয়েছিল অভিযুক্ত। এখন‌ও পর্যন্ত দেহ উদ্ধার হয়নি। বিজয়ের বক্তব্য, ট্যাংরা থানা সক্রিয় হলে নিখোঁজ হ‌ওয়ার তেরো দিন পর দাদার মৃত্যুর খবর পেতে হত না।