শনিবার বিকেলে শুভ সূচনা হলো ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের। ভারতের অর্থানুকুল্যে নির্মিত ডিজেল আমদানির ক্ষেত্রে নয়া দিগন্তের সূচনাকারী মৈত্রী পাইপলাইনের সূচনা হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। নয়া পাইপলাইন দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। দুই দেশের মধ্যে ডিজেল আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের অঙ্গ হিসেবে ২০১৮ সালে মৈত্রী পাইপলাইন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ১৩১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩৭৭ কোটি টাকা। অসমের নামালিগড় হয়ে শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর ডিপোতে আমদানি করা হবে ডিজেল। প্রতি বছর অন্তত ১০ লক্ষ মেট্রিক টন হাইস্পিড ডিজেল সরবরাহ হবে নয়া পাইপলাইনের মাধ্যমে। দেশের উত্তরবঙ্গের সাতটি জেলায় আমদানিকৃত ডিজেল সরবরাহ করা হবে। নয়া পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আসায় জ্বালানি তেলের দাম অনেকটাই যেমন কমবে তেমনই চাহিদার তুলনায় জোগানের ক্ষেত্রেও ভারসাম্য থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাইপলাইন নির্মাণে ভারত সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছে তাঁর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। আমাদের দুই দেশের এ বন্ধুত্ব অটুট থাকুক, সেটাই আমি চাই।’