প্রাপ্তবয়স্কদের করোনা চিকিৎসায় সংশোধিত গাইডলাইন প্রকাশ করা হল ৷ রাশ টানা হল অ্য়ান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের উপর। ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণের প্রমাণ নামেলা পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্কদের করোনা চিকিৎসায় অ্য়ান্টিবায়োটিক ব্য়বহার করা যাবে না ৷ এই মর্মে রবিবার একটি নতুন ও সংশোধিত গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ গত কয়েক দিন ধরে দেশে আবারও একটু একটু করে বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ৷ তার জেরেই এই সংশোধিত গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে ৷ তাতে বলা হয়েছে ভারতে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলেই লোপিন্যাভিররিটোন্যাভির হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন আইভারমেকটিন মলনুপিরাভির ফ্যাভিপিরাভির অ্য়াজিথ্রোমিসিন এবং ডক্সিসাইক্লাইনের মতো ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না ৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে গত 5 জানুয়ারি কোভিড চিকিৎসা পদ্ধতি সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৷ সেই বৈঠকে এইমস ও আইসিএমআরের কোভিড বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন ৷ দেশে করোনার চিকিৎসায় এতদিন যে গাইডলাইন মেনে চলা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখার জন্যই মূলত এই বৈঠক করা হয় ৷ সেই বৈঠকে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে ৷ বৈঠকের পর করোনার চিকিৎসায় চিকিৎসকদের কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপিও ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ সংশোধিত গাইডলাইনের একাংশে বলা হয়েছে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত কোনও সংক্রমণে আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না ৷ করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের আরও কোনও স্থানীয় সংক্রমণ রয়েছে কি না সেই বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে ৷ তবে কোনও রোগীর অবস্থা যদি গুরুতর হয় তাহলে তাঁর ক্ষেত্রে সর্বাধিক পাঁচদিনের জন্য রেমডেসিভির ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ এক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ প্রকাশ্যে আসার ১০ দিনের মধ্যেই ওষুধ চালু করতে হবে ৷ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অবস্থা যদি অত্যন্ত গুরুতর হয় এবং তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্ট থাকে একমাত্র তবেই নিয়ম প্রযোজ্য হবে ৷ তবে পাঁচদিনের বেশি কোনও মতেই এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না ৷ যে রোগীরা অক্সিজেন সাপোর্টে নেই তাঁদের ক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা কার্যকর করা যাবে না ৷ এর পাশাপাশি কোনও রোগীর উপসর্গ যদি মধ্যম থেকে ক্রমশ প্রবল হতে শুরু করে কিংবা রোগীকে যদি আইসিইউতে ভরতি করতে হয় তাহলে উপসর্গ প্রকাশ্যে আসার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে টোসিলিজুমাব ব্যবহার করা যেতে পারে ৷