ভাইরাল

গ্রামে পানীয় জল প্রকল্পের অনুষ্ঠানে বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে একই মঞ্চে বিলকিস বানোর ধর্ষক

২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার সময়ে গণধর্ষণের শিকার বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মাথার ওপরে যে বিজেপি নেতাদের আশীর্বাদের হাত রয়েছে ফের একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। শনিবারই দাহোদ জেলায় এক সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে হাজির ছিলেন বিলকিস বানোর গণধর্ষণকারীদের মধ্যে অন্যতম শৈলেশ চিমনলাল ভাট। ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ধর্ষকের সঙ্গে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের মঞ্চ আলোকিত করে বসে থাকার ছবি। অনেক নেটা নাগরিকই বিজেপি নেতাদের খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘ধর্ষকের সঙ্গে একই মঞ্চে বসতে গিয়ে লজ্জাটুকু পেলেন না?’ ২০০২ সালে গুজরাতে স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ দাঙ্গা সংগঠিত হয়েছিল। মুসলিমদের সবক শেখাতে আসরে নেমে পড়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের গুণ্ডা তথা স্বঘোষিত হিন্দুত্ববাদীরা। সেই সময়ে পাঁচ মাসের গর্ভবতী বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করেছিলেন হিন্দু কট্টরবাদী সংগঠনের একাধিক সদস্য। এমনকী তাঁর পরিবারের সাতজনকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছিল ধর্ষকরা। ২০০৮ সালে বিলকিসের গণধর্ষণে জড়িতদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। কিন্তু গত বছরের ১৫ অগস্ট স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১১ ধর্ষককে সসম্মানে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাতের বিজেপি সরকার। জেল থেকে মুক্তির পরেই ওই ১১ ধর্ষককে বীরের সংবর্দনা দিয়েছিল বিজেপি ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ একাধিক কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। গণধর্ষকদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। আজ সোমবারই ওই মামলার শুনানি রয়েছে। শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানির আগেই ধর্ষকদের পাশে খুল্লামখুল্লাভাবে দাঁড়িয়েছেন গুজরাতের বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করা। শনিবার দাহোদ জেলার কারমাদি গ্রামে পানীয় জল প্রকল্পের এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ যসবন্ত সিন বাভোর ও লিমখেড়ার পদ্ম বিধায়ক শৈলেশ বাভোরের সঙ্গে হাজির ছিলেন বিলকিস বানোর গণধর্ষণের অন্যতম আসামী শৈলেশ চিমনলাল ভাট। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।