কলকাতা

এবার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বাংলা পেল জোড়া শিরোপা

আবারও জয়জয়কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার। এ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর যে উন্নয়ন ঘটেছে মমতার রাজত্বপাটে তার ভূয়ষী প্রশংসা করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শুধু তাই নয়, পরিষেবা প্রদান আর পরিকাঠামোগত উন্নয়নের নিরিখে তাঁরা বাংলাকে জোড়া শিরোপায় ভূষিতও করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মূল্যায়ণে বা UPHC গুলির মধ্যে দেশের সেরা শিরোপা অর্জন করল নদিয়া জেলার কল্যাণীর। পাশাপাশি প্রসূতিদের জন্য ব্যবহৃত অপারেশন থিয়েটার ও লেবার রুমের পরিকাঠামোগত বিচারে ‘লক্ষ্য’তে উত্তীর্ণ হল রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল। কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে সেটা মোদি সরকারকেও মেনে নিতে হচ্ছে। ঘটনাচক্রে এই জোড়া শিরোপা এসেছে আবার একটি জেলাতেই, নদিয়ায়। রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২০ ও ২১ জানুয়ারি কল্যাণীর ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মূল্যায়নের কাজ হয়। মোট ১২টি বিভাগে মূল্যায়নের কাজ হয়। চলতি মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, ড্রেসিংরুম, ইমার্জেন্সি বিভাগ, জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পরিবার পরিকল্পনা, নবজাতক ও প্রসূতি বিভাগ, ফার্মেসি সহ মোট ১২টি বিভাগের প্রত্যেকটি মিলিয়ে সার্বিকভাবে ৯৫.৫ শতাংশ নম্বর পায় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। যা দেশের অন্য কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র পায়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই ধরনের কেন্দ্রীয় সমীক্ষায় প্রথমে আন্তঃজেলা, তারপর রাজ্য এবং সবশেষে জাতীয় স্তরে পরীক্ষা নেওয়া হয়। মূলত, ক্লিনিক্যাল সার্ভিস, ইনফেকশন কন্ট্রোল, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সহ মোট ৮টি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়। উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রতিক্ষেত্রেই ৭০ শতাংশ নম্বর পাওয়া বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় স্তরে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটারের পরিকাঠামো মূল্যায়নে ৮৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ‘লক্ষ্য’ সমীক্ষায় উত্তীর্ণ হল রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল। পুরস্কার হিসেবে আগামী এক বছর চার লক্ষ টাকা পাবে এই হাসপাতাল। কেন্দ্রের বিচারে ৮৮ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছে এই হাসপাতাল। কেন্দ্রের সমীক্ষায় জেলার দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র তথা হাসপাতাল জোড়া শিরোপা ছিনিয়ে আনায় বেশ খুশি নদিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই জেলার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আমি চেষ্টা করেছিলাম জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে কেন্দ্রের কাছে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে। কল্যাণীর পিকনিক গার্ডেন সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র যা নম্বর পেয়েছে, তা দেশের অন্য কোনও আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্র পায়নি। এই সাফল্য জেলার অন্যান্য আরবান স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি অনুপ্রাণিত হবে। আগামী তিন বছর এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ২ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার হিসেবে পাবে। যা আগামীতে উন্নততর রোগী পরিষেবা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে সাহায্য করবে।’