দীর্ঘ ছয় বছর পর ন্যায় পেল যৌনভাবে নির্যাতিতা এক নাবালিকা ছাত্রী। ৬ বছর পর মামলার অন্তিম রায় জানালেন আলিপুর পকসো আদলত। চার বছরের ছাত্রীকে স্কুলের ভিতরে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুলের দুই শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশিকা দিলেন আদালত। টালিগঞ্জ রানিকুঠির বেসরকারি জি ডি বিড়লা স্কুলে নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনে দোষী সাব্যস্ত হলেন সেই স্কুলেরই শারীরশিক্ষা বিভাগের দুই শিক্ষক। অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের নাম মহম্মদ মফিজুদ্দিন ও অভিষেক রায়। শুক্রবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত দুজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন। পাশাপাশি নিগৃহীত শিশুটিকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন৷ এছাড়াও অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেলের সাজা ঘোষণা করেছে আলিপুর পকসো আদালত ৷এদিকে আদালতের এই রায়ে খুশি শিশুটির বাবা ৷ তার মেয়ে যে শেষ পর্যন্ত বিচার পেল ও দোষীরা সাজা পেয়েছে তাতে
তিনি সন্তুষ্ট বলে জানান ৷ প্রসঙ্গত ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে রানিকুঠির ওই নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে এক চার বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছিল স্কুল। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যেই যৌন নির্যাতন চালানো হয় এক ছাত্রীর উপর। অভিযোগ ওঠে স্কুলের শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন দুই শিক্ষক। ছুটির পরে ভয়ে কুঁকড়ে থাকা বাচ্চাটির জামায় রক্তের দাগ দেখেছিলেন অভিভাবক। জিজ্ঞাসা করা হয়ে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকা বাচ্চাটি আস্তে আস্তে সমস্ত কথা তাঁর অভিভাবকদের জানায়। দিনের পর দিন স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ ছিল,স্কুল কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে আদৌ ভাবিত নয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের সেই সময় গড়ে উঠেছিল অভিভাবকদের ফোরাম। স্কুলের গেট আটকে অভিভাবকরা দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভে সামিল হন। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসের এই ঘটনার পর যাদবপুর থানায় ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই নাবালিকার অভিভাবকেরা।এর পরে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি দেওয়া হয়, করা হয় শারীরিক পরীক্ষাও।আর এবার সেই মামলাতেই সাজা ঘোষণা করল আদালত।