মালদা স্কুলে বন্দুকবাজের হামলা। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে স্কুলের ক্লাসরুমের মধ্যে ঢুকে পড়ল বন্দুকবাজ। সপ্তম শ্রেণির ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ে বন্দুকবাজ। আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও বন্দুকবাজের সঙ্গে ছিল অ্যাসিড বোমাও। ঘটনা মালদার মুচিয়া চন্দ্র মোহন হাইস্কুলে। আমেরিকায় হামেশাই ঘটে এই বন্দুকবাজ হামলা। এবার বাংলার স্কুলেও বন্দুকবাজের হামলা!তীব্র শোরগোল এই ঘটনায়। অস্ত্র হাতে ছাত্রদের রীতিমতো ভয় দেখিয়ে ‘পণবন্দি’ মত করে রাখে। বন্দুক উঁচিতে রীতিমতো শাসানি দিতে থাকে বন্দুকবাজ। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ক্লাসের মধ্যে তাণ্ডব চালায় সে। ক্লাসরুমে তখন ভয়ে জড়সড় খুদে পড়ুয়ারা। প্রাণভয়ে চোখ মুখে তখন আতঙ্ক। দমবন্ধ করা ভয়াবহ পরিস্থিতি। শুধু হাতে একটা নয়, হামলাকারীর কাছে একাধিক বন্দুক ছিল। এমনকি পায়ে ছুরিও বাঁধা ছিল। খবর পেয়েই ছুটে আসে পুলিস। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এক পুলিশ কর্মী ঝাঁপিয়ে পড়ে বন্দুকবাজকে আটকায়। সঙ্গে সঙ্গে তড়িৎগতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে পড়ুয়া সহ অন্য পুলিশকর্মীরাও। শেষমেশ ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। মুক্ত করা হয় বন্দি পড়ুয়াদের। জানা গিয়েছে পড়ুয়াদের কারও কোনও সমস্যা হয়নি। সকলেই অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। তাঁকে মালদা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। এমনকী স্কুলে ঢুকে সে দাবি করতে থাকে যে তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। এমনকী সে তাঁর পুত্রকে খুঁজে পাচ্ছে না বলেও দাবি করে সে। ছেলে খুঁজে না পাওয়ার কারণেই সে বাধ্য হয়ে এই পন্থা নিয়েছে বলে দাবি করতে থাকে ওই যুবক। সেই যুবকের নাম পরিচয় এখনও জানতে পারা যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে অনেকেই দাবি করছেন যে ওই যুবকের নাম রাজু বল্লভ। তবে তাঁর নাম নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।