জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়ে এক বিজেপির কর্মীকে চমকে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সভা করলেন রায়না ও কাইতিতে। যাত্রাপথে বার বার বিভিন্ন জায়গায় তিনি থেমে যাচ্ছেন। অপেক্ষমান মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। অভিষেককে কাছে পেয়ে গ্রামের ল্যাম্প পোস্টে আলো দেওয়ার আবদার করলেন এক বিজেপি কর্মী। তাঁকে কথা দিলেন অভিষেক। অভিষেক বলেন, জামালপুর থেকে বেরিয়ে রায়না যাচ্ছিলাম। নানা জায়গায় দাঁড়িয়েছি। আরএসএসের এক যুবক এসে বলল সে বিজেপির কর্মকর্তা। বলল, তার গ্রামের ল্যাম্পপোস্টে আলো নেই। একটু বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেবেন? আমি বললাম করে দেব। এমন রাজনীতি চাই। বিজেপির কর্মী, সে অমিত শাহকে না বলে আমাকে বলল। আমি বললাম করে দেব। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতার কথা বলতে দিয়ে অভিষেক বলেন, গ্রামে এ বৌদি আমাকে গ্রামে রাস্তায় নিয়ে গিয়ে দেখাল। পিএমজিএসওয়াইয়ের রাস্তা। আমি ওদের বললাম, নরেন্দ্র মোদীর রাস্তা। কাজ হবে কী করে? পানীয় জল নিয়েও উনি অভিযোগ করলেন। আমি বলেছি পালীয় জল করে দেব। সন্ধের টক শোতে দেখানো হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। আমি বলি, মানুষের চাহিদা রয়েছে। আমাকে বলেছে। এমন বিক্ষোভে আমি রোজ একশো বার পড়তে চাই। বিনামূল্য ভাষণা নাকি বিনামূল্যে রেশন, কী চান আপনারাই ঠিক করুন। অমিত শাহর প্রসঙ্গে টেনে অভিষেক বলেন, উনি বলেছিলেন, দিদির সরকার ২০২৫ সালে শেষ। আর নিজেরাই কর্নাটকে ফুস হয়ে গেল। মজা করে আমরা বলি মায়ের ভোগে। দক্ষিণ ভারত থেকে বিজেপি হাওয়া হয়ে গিয়েছে। পূর্বভারতেও নেই। মধ্যভারত ও কয়েকটি রাজ্যে রয়েছে। ওদের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোকাট্টা হওয়া সময়ের অপেক্ষা। রায়নার সভায় অভিষেক বলেন, এরাজ্যে বিজেপি হেরে যাওয়ার পর বাংলা হল একমাত্র রাজ্য যার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বাড়ির টাকা, একশো দিনের টাকা দেয়নি। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি দেখা করেননি। সেখানেই শুলনাম এক অফিসার বললেন, বাংলার বিজেপি নেতা এসে বলে য়াচ্ছেন বাংলাকে টাকা দেবেন না।